বাড়ির কোথায় ঘড়ি রাখা একেবারেই উচিত নয়?


Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বাস করুন বা না করুন একথা মধ্যে কোনও ভুল নেই যে বাড়ির অন্দরে থাকা প্রতিটি জিনিসের সঙ্গে আমাদের ভাল-মন্দের যোগ রয়েছে। বিশেষত ঘড়ি, পেন্টিং, মূর্তি এবং সোপিস যদি ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে না রাখেন, তাহলে নানাবিধ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই যেমন ধরুন বাড়িতে থাকা কোনও ঘড়ি যদি দিনের পর দিন বন্ধ থাকে তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে। এখানেই শেষ নয়, বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ের দিকে যদি নজর ফেরান, তাহলে জানতে পারবেন বাড়ির অন্দরে ঘড়ি রাখতে হলে বেশ কতগুলি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। না হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনি গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে পারিবারিক কলহ বৃদ্ধি পায়। ফলে সুখ-শান্তিও দূরে পালায়। এমনটা আপনার পরিবারের সঙ্গেও ঘটুক, যদি না চান, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! আসলে এই লেখায় এমন কতগুলি বাস্তু নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে যদি ঘড়ি ব্যবহার করা যায়, তাহলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল…

১. ভুলেও দক্ষিণ দিকে নয়:

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ভুলেও ঘড়ি ঠাঙানো উচিত নয়। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে দরজার উপর ঘড়ি রাখলেও নানাবিধ বিপদ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক জটিলতা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাহলে কোন দিকে মুখ করে রাখতে হবে ঘড়ি? বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে পূর্ব, পশ্চিম অথবা উত্তর দিকে মুখ করে ঘড়ি রাখা যেতেই পারে। এমনটা করলে গৃহস্থে পজেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকবে। ফলে কোনও ধরনের খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কমবে।

২. শোয়ার ঘরে ঘড়ি নয়:

অ্যালার্মের জন্য মোবাইল ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু ভুলেও শোয়ার ঘরে ঘড়ি রাখবেন না যেন। কারণ বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা করা বেজায় অশুভ বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কী বিষয়? যদি দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোন, তাহলে ঘড়ি রাখতে হবে উত্তর দিকের দেওয়ালে। মূল কথা যেখানে শোবেন, সেখান থেকে ঘড়ি যেন অনেক দূরে থাকে।

৩. বন্ধ ঘড়ি নৈব নৈব চ:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে বাস্তুশাস্ত্রে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির ভিতরে বন্ধ ঘড়ি থাকা বেজায় অশুভ। এমনটা হলে নেগেটিভ শক্তির প্রকোপ বাড়তে থাকে। ফলে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক যদি না চান, তাহলে ভুলেও বেশিদিন বন্ধ ঘড়ি গৃহস্থের অন্দরে রাখবেন না। প্রসঙ্গত, বাস্তু মতে এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির বাইরে ঘড়ি রাখা একেবারে উচিত নয়। কারণ এমনটা করা বেজায় অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়ে থাকে।

৪. সময়ের থেকে পিছিয়ে থাকা চলবে না:

বাড়ির ভিতরে থাকা প্রত্যেকটা ঘড়ি যেন ঠিক ঠিক টাইম দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনও ঘড়ি সময়ের থেকে আগে দৌড়ালে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ঘড়ি যদি স্লো হয়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! কারণ এমনটা হলে খারাপ সময়ের খপ্পরে পরার সম্ভাবনা বাড়ে।

৫. ভাঙা ঘড়ি:

বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘড়ির কাঁচ যদি ভেঙে যায়, তাহলে সেই ঘড়ি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ ভাঙা কাঁচ অশুভ শক্তিকে ডেকে আনে। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়। তাই কোনও কারণে যদি কোনও ঘড়ি ভেঙে গিয়ে থাকে, তাহলে তা আজই বাড়ির বাইরে ফেলে দিন।

৬. পরিষ্কার রাখতে হবে:

ঘড়ির উপরে যাতে ধুলো না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ধুলোয় ঢাকা ঘড়ি শুভ শক্তির প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এই কারণেই প্রতিদিন ঘড়ি পরিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৭. দরজার সামনে ঘড়ি রাখবেন না:

সদর দরজার একেবারে সমানে ঘড়ি রাখবেন না। এমনটা করলে খারাপ সময়ের আগমণ ঘঠতে সময় লাগবে না। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালায়।

৮. চৌকো নয়তো গোল:

ঘড়ি যখন কিনবেন খেয়াল রাখবেন ঘড়ির অবয়ব যেন চৌকো নয়তো গোল হয়। কারণ বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে উদ্ভট শেপের ঘড়ি বাড়িতে রাখা একেবারেই উচিত নয়। কারণ ঘড়ি হল সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই গোল বা চৌকো শেপের ঘড়ি না রাখলে পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.