স্তন সঙ্গমের যত উপকারিতা
Odd বাংলা ডেস্ক: স্তন সঙ্গমে পুরুষ তার শিশ্ন-কে নারীর দুই স্তনের মাঝে রাখে, তারপর যখন স্তনদ্বয়-কে শিশ্নের পাশে নারী চেপে ধরে, পুরুষ তার শিশ্নটিকে স্তনের মাঝে ডলতে শুরু করে। স্তন চেপে ধরার কারণে শিশ্নে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আর, নারী যখন তার স্তনদ্বয়-কে শিশ্নের সাথে লাগিয়ে উপর-নিচ করে ডলতে আরম্ভ করে, তখন আরও প্রচণ্ড যৌন-উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একসময় কাম-উত্তেজনা এমন চরম পর্যায়ে পৌছায় যে, পুরুষটির শিশ্ন থেকে বীর্য স্খলন হয়ে যায়। এটি একটি অভেদী-যৌনক্রিয়া এবং এতে কোন প্রকার গর্ভধারণের সম্ভাবনা নেই। এতে কোন যৌন-রোগেরও সম্ভাবনা নেই।
নারীশরীর এমনিতেই রহস্যে মোড়া। নারীদের স্তনযুগলের সুডৌল গড়নের প্রতি আকৃষ্ট হননি, এমন পুরুষ দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর শুধু পুরুষদের কথাই বা বলছি কেন, নারীদেরও নিজেদের স্তন নিয়ে গর্বের শেষ নেই। স্তনের আকৃতি, গঠন নিয়ে তাঁরা সদা সচেতন। অন্তর্বাস পরার আগে খুঁতখুঁতে হন অশিকাংশ নারীই। কিন্তু জানেন, স্তনের প্রতি পুরুষদের এহেন দুর্নিবার আকর্ষণের কারণ কী? হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। পড়ুন তেমনই ১০টি কারণ-
১. প্রথমত এক সুন্দরী নারীর সুগঠিত স্তন দেখতে অত্যন্ত সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন হয়। আকৃতি যেরকমই হোক না কেন- কোনও নারীর স্তনের সৌন্দর্যের প্রতি পুরুষরা আকৃষ্ট হবেনই। নারীদের ব্যক্তিত্বে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে স্তনের আকৃতি। শুনতে খানিকটা খারাপ লাগলেও, নারীদের শরীরের যে অংশে পুরুষদের চোখ সবার আগে আটকে যায়, তা হল স্তন।
২. নারীত্বের প্রতীক হল স্তন। পুরুষদের শরীরে বিভাজিকা খুব একটা দেখা যায় না। তাঁদের শারীরিক গঠন সোজাসাপটা। অন্যদিকে, নারীদের শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিভাজিকা রয়েছে তাঁদের বক্ষযুগলেই। ওই ‘কার্ভ’ নারীত্বের প্রতীক, গর্ব, কখনও অহংকারও। আর সে কারণেই ডাকসাইটে হলি থেকে টলি অভিনেত্রীরাও স্তনের আকার নিয়ে সদা সচেতন। প্রয়োজনে স্তনের আকার বাড়াতে ছুরি-কাঁচি চালাতেও দ্বিধা করেন না তাঁরা।
৩. আদিকাল থেকেই সুগঠিত, উর্বর নারীদেহের প্রতি পুরুষরা আকর্ষিত হয়েছেন। যে নারীদের স্তন সুগঠিত, সুউচ্চ ও ভরাট, তাঁদের দেখে পুরুষদের মনে কামনার স্ফুলিঙ্গ জ্বলে ওঠে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পিছনে শারীরিক ছাড়াও রয়েছে খানিকটা মানসিক কারণও। ওই যে প্রথমেই বললাম, উর্বর ও সন্তান উৎপাদনে সক্ষম নারীদের স্তনযুগল সুন্দর হবে, এই ধারণা অতীত থেকেই পুরুষদের মনে বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে। তাই যে সমস্ত নারীরা সুডৌল স্তনের অধিকারী হন, তাঁদের সঙ্গী হিসাবে অগ্রাধিকার দেন পুরুষরা।
৪. পুরুষ ও নারীদের মধ্যে শারীরিক গঠনের বেশ কিছু পার্থক্য থাকে। সব পার্থক্য সাধারণত বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। সেক্ষেত্রে নারীদের স্তনযুগলের ‘শেপ’ ও ‘সাইজ’ বাইরে থেকেই খানিকটা আঁচ করা যায়। তেমন গঠন হলে পুরুষদের চোখ সেদিকে আটকে যায়। পুরুষদের মনে কামনার আগুন জ্বলতে শুরু করে। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘ভিজুয়াল স্টিমুলেশন’। অর্থাৎ, স্তনের গঠন দেখেই পুরুষদের কামোত্তেজনা জাগতে শুরু করে দেয়।
৫. নারীশরীরের অন্দরমহলে প্রবেশপথের দরজা হল তাঁর স্তন। সঙ্গমের আগে স্তনযুগল ছুঁয়ে দেখে পুরুষদের কামভাব জাগ্রত হয়। অর্গ্যাজমের সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে সেই কামনার আগুন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হরমোনাল অ্যাকটিভিটি একাধাক্কায় বেড়ে যায় অনেকটাই।
৬. পূর্ণ মিলনের আগে ‘ফোরপ্লে’-র ক্ষেত্রে স্তনের জুড়ি মেলা ভার। মিলনের আগে স্তন ছাড়া ফোরপ্লে করতে জানেন না অধিকাংশ পুরুষই, এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। স্তন, বিশেষত স্তনবৃন্ত নিয়ে খেলা করতে ভালবাসেন রতিক্রিয়ায় পারদর্শী পুরুষরা।
৭. স্তনের গঠন ও ‘ইলাস্টিসিটি’র জন্য এ নারীঅঙ্গ ছুঁয়ে দেখতেও ভারী পছন্দ করেন পুরুষরা। এখানে নারীদের একটি বিশেষ স্বভাবের কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। যে পুরুষরা প্রেমিকা বা স্ত্রীর স্তন খুব যত্ন সহকারে, ভালোবেসে ছুঁয়ে দেখেন, তাঁদের দায়িত্বশীল বলে মনে করেন অধিকাংশ নারীই।
৮. স্তনযুগল হল নারীশরীরের অন্যতম রহস্যময় স্থান। যে মুহূর্তে পুরুষদের চোখ স্তনের দিকে যায়, তখন থেকেই তাঁরা কামোত্তেজক চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন। নারীদের পোশাকের নিচে উদ্ধত স্তনের আসল আকৃতি সম্পর্কে ভাবতে শুরু করে দেন। যতক্ষণ না সেই স্তন সম্পর্কে যাবতীয় রহস্যভেদ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত একজন স্বাভাবিক পুরুষকে ওই চিন্তা তাড়া করে বেড়ায়।
৯. ক্লিভেজ ছাড়া স্তনের আসল মজাটাই মাটি। লো-কাট টপ বা সাহসী পোশাক পরিহিতা নারীদের বিলোল বিভাজিকার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হন পুরুষরা। তবে যে নারীদের বিভাজিকা সেভাবে প্রকট নয়, সেক্ষেত্রে গোটা শরীরটাকেই ভালবাসেন পুরুষরা।
১০. বেশ কয়েকটি কারণে পুরুষরা স্তনের মধ্যে শান্তির আশ্রয় খুঁজে পান। দিনভর কাজ, ডিপ্রেশন, চাপ, টেনশনের পর স্তনে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে ভালবাসেন। গবেষণা বলছে, যে ব্যক্তিরা প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট করে সঙ্গিনীর স্তনে মাথা রেখে শোন, তাঁরা বেশিদিন বাঁচেন, সুস্থ থাকেন।
Post a Comment