টক দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেক! জেনে রাখুন


Odd বাংলা ডেস্ক: দইয়ে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। এই দইয়ের মধ্যে আবার টক দই বেশি উপকারী। শারীরিক সমস্যার সমাধানে টক দই অত্যন্ত কার্যকরী! টক দইয়ের কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে আসুন জেনে নিই— শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে প্রতিদিন টক দই খেলে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়। খাদ্যগুণ বিবেচনায় টক দইকে বলা হয় ‘অলরাউন্ডার’। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২ কী নেই টক দইয়ে। টক দই নিয়মিত খেলে শরীর-মন চাঙা করে। হজমে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যার ফলে হজম ভালো হয়।অনেকেই গ্যাসট্রিক ও পেটের নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। টক দই এই ক্ষেত্রে কার্যত ওষুধের মতো কাজ করে।

১. টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আর এ কারণে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কম থাকে।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা। অনেকেই এতে ভোগেন। টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

৩. অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাও দূর করতে পারে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে।

৪. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দইয়ে থাকে ল্যাক্টোবেসিলাস, অ্যাসিডোফিলাসের মতো বিভিন্ন উপাদান যা শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টেরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টই দই খুব কাজ করে। ক্রনিক ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে দই।

৬. কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে অনেক সময় টক্সিন জমে থাকে। তাই নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস রক্ত পরিশোধনে কাজ করে রক্তকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

৭. বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের হাড় ক্ষয় হয়। দইয়ের মধ্যে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দুই-ই থাকায়, টক দই অস্টিওপোরোসিস রোধে সাহায্য করে।

৮. ডায়ারিয়া, ল্যাক্টোস সমস্যায়ও টক দই খুব ভালো কাজ করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.