টোটো করে ঘুরে বেড়ালো করোনা আক্রান্ত, খড়গপুরে সংক্রমণের আতঙ্ক
Odd বাংলা ডেস্ক: মাথায় কার্যত বাজ পড়ার মত অবস্থাই হয়েছে খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার ও খড়গপুর শহর পুলিশের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রাজা মুখার্জীর। না , কোনও দাগী কুখ্যাত জেল ভাঙা অপরাধী নয়, তারও চেয়ে বড় আতঙ্ক এখন করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আই.ডি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যাক্তি। ভারতীয় মহামারী প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী পলাতক এই রোগী অবশ্য খুনের আসামির চাইতেও মারাত্মক কারন এর থেকে আরও রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
জানা গেছে খড়গপুর পৌরসভার ভবানী পুর আজাদ কলোনীর ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ব্যাক্তির অবস্থা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ওই যুবককে পাঠানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল তাকে পাঠিয়ে দেয় নীলরতন হাসপাতালে। ১৭ মার্চ ওই ব্যাক্তি নীলরতন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসকরা খড়গপুরের ওই যুবককে জানিয়ে দেন তিনি ‘অতি মাত্রায় করোনা সন্দেহভাজন বা strong suspicion of Corona। তাঁকে ফের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে কোয়ারনটাইন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষনে থাকতে হবে।
কিন্তু মঙ্গলবার রেফার হওয়া ওই যুবক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে না গিয়ে পরিবার সমেত খড়গপুরে তার বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর তার মেডিকেলের রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান এলাকাবাসী। তাঁদের মধ্যে করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর এলাকায় বাসিন্দাদের কয়েকজন ওই যুবককে নিয়ে এসে আবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে গেলে দেখেন যে এখানে করোনার কোনও পৃথক ওয়ার্ড নেই। এরপর ওই যুবক খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে চলে যান বেসরকারি নার্সিং হোমে। ইতিমধ্যেই পুলিশ খবর পেয়ে যায় যে করোনা আক্রান্ত সন্দেহের তালিকায় ওই যুবক বেলেঘাটা না গিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে টোটো করে । খবর যায় পৌর প্রধানের কাছে। পুলিশ ও পুর প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে যুবককে খুঁজে বের করতে। অবশেষে খোঁজ মেলে যুবকের। পুলিশের উদ্যোগে ওই যুবকে কে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে পুলিশের।
Post a Comment