নিতম্ব বড় করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চান এই মডেল


Odd বাংলা ডেস্ক: সুইডেনের এক বিখ্যাত মডেল বড় নিতম্ব করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চান। তাই তিনি উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। দেশটির গোথেনবার্গেও মেয়ে নাতাশা ক্রাউন জানান, ‘তার জীবনের এখন অন্যতম লক্ষ্য হলো- নিতম্ব বড় করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া ।’ নিজেকে ‘সেক্সি ও পাওয়ারফুল’ দেখানোর জন্য তিনি পশ্চাৎদেশে চারটি পাথরও লাগিয়েছেন। নাতাশার দাবি, এখন তার দুই নিতম্ব প্রায় ছয় ফিট চওড়া। এই নিতম্ব তৈরি করতে তিনি প্রতিদিন পিজ্জা ও পাস্তা খান। এছাড়াও প্রতিমাসে ৬ কেজি করে নাটেলা খাচ্ছেন, যেটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত একটি জ্যাম জাতীয় খাবার। নাতাশার কথা অনুযায়ী তিনি বার তিনেক নিতম্ব বড় করার জন্য সার্জারি করিয়েছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি সবথেকে আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করে দেখেন তার নিতম্ব আগের থেকে কতটা বাড়ল। তিনি নিতম্ব’র ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে বেশ ফলোয়ার গড়েছেন। এখন তার ফলোয়ার হয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি। 

তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমি যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সবচেয়ে বড় নিতম্ব গড়তে চাই।’ নাতাশার উদ্দেশ্য তার বড় নিতম্ব দেখে মানুষ থেমে যাবে, তাকিয়ে থাকবে। এজন্য তাকে প্রচুর পরিমানের ক্যালোরিযুক্ত চকোলেট এবং খাবার খেতে হয়। যার জন্য তার কাড়ি কাড়ি টাকা যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন বিশ বছর তখন প্রথম নিতম্ব বড় করার কাজ শুরু করি। আমার প্রত্যাশা ছিল আমি পারবো, তাই আজকের অবস্থায় পৌঁছেছি।’ ২৪ বছর বয়সী এই তরুণী প্রতিদিনই সুইডেনে নতুন করে ফলোয়ার পাচ্ছেন। অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। বাইরে বের হলে তাকে ঘিরে মানুষের কৌতুহল বেড়ে যায়। নাতাশা বলেন, ‘যখন আমি বয়ঃপ্রাপ্ত হলাম, আমার ভিতরে পরিবর্তন আসলো। আমি আমার স্তন ও নিতম্ব’র যত্ন নেওয়া শুরু করলাম।’ ‘এরপর থেকেই নিজের শরীরের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়, এক পর্যায়ে খেয়াল করলাম যে হাঁটার সময় আমার নিতম্ব দোল খায়। অনেকেই তাকিয়ে থাকে। অন্যদের দেখেও আমার ভালো লাগে। এসব চিন্তা থেকেই আমার নিতম্ব বড় করার ইচ্ছা জাগে।’ তার বাবা মা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনো দিনই একমত হননি। এখনো তাকে বুঝানো চেষ্টা করেন। তারা তার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য বরাবরই বলেন। মাঝেমধ্যে তারা নাতাশাকে নিষ্ঠুরভাবে বোঝান যে, এরকম লুকে তাকে কাকের মত লাগে। কিন্তু নাতাশা সেসব পাত্তা দেন না। নাতাশা বলেন, ‘তারা আমার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলেন, এরকম করলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়বো। তাছাড়া, আমার ভবিষৎ নিয়েও তারা চিন্তায় আছেন।’ তবে আমি তাদের বলেছি আমি ঠিক আছি তোমরা চিন্তা করো না। আমি আমার লক্ষে পৌঁছতে চাই। তা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে। কারণ, এটাই আমর ভালো লাগে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.