সত্যি কি হাতের স্পর্শে স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় ?


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রাচীন কাল থেকেই নারী শরীর নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। শরীরের সব অঙ্গই বয়স বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু যখন প্রশ্ন ওঠে মেয়েদের শরীর অর্থাৎ মেয়েদের স্ত’ন নিয়ে, তখন সবার কথা বন্ধ হয়ে যায়। কারন মেয়েদের স্ত’নের আকৃতি কখন বৃদ্ধি পায় তার সদুত্তর কেউ দিতে পারেনা। নারী শরীর নিয়ে অনেকের অনেক রকম ধারনা। কেউ কেউ ভাবে মেয়েদের স্ত’নে পুরুষের হাতের স্পর্শ পেলেই তা বৃদ্ধি পায়। 

আপনার মনেও যদি এরকম কোন ধারনা এসে থাকে তাহলে আপনি এই নিবন্ধটি পড়ুন। আসলে মেয়েদের শরীরের গঠন বৃদ্ধি পায় খুব দ্রুত। ছেলেদের সেই তুলনায় কম হয়। মেয়েদের ৮ বছর বয়সেই শরীরে বৃদ্ধি হতে শুরু করে। বিয়ের পর মেয়েদের স্ত’নের আকারে পরিবর্তন আসে। কিন্তু বিয়ের সাথে স্ত’নের কোন সম্পর্ক নেই। আসলে বিয়ের পর সহবাসের সময় উত্তেজনার কারনে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। শরীরের সমস্ত জায়গায় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে গেলে স্ত’নের আকার বৃদ্ধি পায়। নাহলে মেয়েদের সাধারণত ২১ বছর বয়স পর্যন্ত স্ত’নের বৃদ্ধি ঘটে। স্ত’ন টিপলেই যে তার বৃদ্ধি ঘটে তা সম্পুর্ন ভুল কথা। এই ভুল কথাটির উপর ভিত্তি করে অনেক মেয়ে নিজের স্ত’ন বৃদ্ধি করার জন্য একা থাকার সময় নিজেই তা টেপে। তাতে কোন লাভ হয় না। কিন্তু হ্যাঁ, যদি নিয়মিত স্ত’নের ম্যাসাজ করা হয়, তাহলে তার বৃদ্ধি হয় এবং ঝুলে যায় না। অবশ্য তা কিছু সময় সাপেক্ষ। কোন মেয়ের গর্ভবতী হওয়ার পর, সন্তান জন্মের পর বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করানোর সময় মেয়েদের স্ত’নের বৃদ্ধি ঘটে। আবার যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করে তাদের স্ত’নের আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরে যাদের অতিরিক্ত মেদ জমে তাদের স্ত’নের আকার অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। নারী অঙ্গ গুলির আকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দায়ী হল দুটি হরমোন। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন। হরমোন ঘটিত কোন সমস্যা থাকলে সেই প্রভাব স্ত’নের উপরেও এসে পড়ে। কিছু মহিলা যারা নিজেদের স্ত’ন নিয়ে খুশি নন তারা আকার বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম এবং নানা রকম ওষুধ ব্যবহার করেন। তাতে কোন ফল শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। নানারকম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি হয়। কোন কিছু করেই শরীরের কোন অঙ্গের কোন পরিবর্তন হয়না। যা হওয়ার নিজে থেকেই হয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.