করোনায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়ালো


Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪০১ জন দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭ জন। বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তবে এখন পর্যন্ত ৯১ হাজার ৯৫২ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২০ মার্চ) চীনে আরো ৭ জন মারা গিয়েছেন। চীনে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২৫৫ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৮ জন । এর মধ্যে মোট ৭১ হাজার ৭৪০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার একদিনই রেকর্ড ৬২৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মোট পাঁচ হাজার ১২৯ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৩ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৫৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮৮ জন। জার্মানিতে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে। 

দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৯ হাজার ৮৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৮০ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৯ হাজার ৬৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৪৭ জন। ইরানে মোট ১৯ হাজার ৬৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৩৩ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৭৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন। ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১২ হাজার ৬১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪৫০ জন। অন্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১০২, সুইজারল্যান্ড ৫৬, যুক্তরাজ্য ১৭৭, নেদারল্যান্ড ১০৬, অস্ট্রিয়া ৬, নরওয়ে ৭, সুইডেন ১৬, বেলজিয়াম ৩৭, ডেনমার্ক ৭, কানাডা ১২, মালয়েশিয়া ৩, পর্তুগাল ৬, জাপান ৩৫, ব্রাজিল ১১, ইরাক ১৭, পাকিস্তান ৩, ভারত ৫ ও বাংলাদেশে ১ জন মারা গেছেন। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.