করোনা আতঙ্ক: মুরগি কিনলে পেঁয়াজ ফ্রি!


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের গুজবে কোপ পড়েছে মুরগির মাংসের বাজারে। বিপদের আশঙ্কায় অনেকেই রান্নাঘরের সামনে মুরগির মাংসের জন্য 'নো এন্ট্রি' বোর্ড ঝুলিয়েছেন। ফলে ব্যবসায় ভাঁটা। সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দোকান খুলে রাখলেও হচ্ছে না বেচাবিক্রি। দাম কমিয়ে দিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা ফেরাতে মুরগির মাংসের সঙ্গে বিনামূল্যে পেঁয়াজ দিচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু তাতেও সেভাবে মুরগির মাংসের দোকান ফিরছে না ক্রেতারা। ক্রমশই কমছে বিক্রি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিনে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষের। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এবার থাবা বসিয়েছে ভারতেও। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ৮০টি দেশে। ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস? কীভাবেই বা ঠেকানো সম্ভব এই ভাইরাসকে? তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। ছড়িয়ে পড়ছে নানা গুজব। 

 অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন মুরগির মাংস খেলেও নাকি অনায়াসেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে করোনা। তাই ভয়ে মাংসের দোকানমুখো হচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলস্বরূপ বেচাবিক্রিতে ভাঁটা। বেশ কয়েকদিন আগে দেখা গেছে কলকাতার দোকানগুলিতে মুরগির মাংস বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ছবি। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। হু হু করে কমছে মুরগির মাংসের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০-৬০ টাকা কমেছে মুরগির মাংসের দাম। কলকাতার বাজারগুলিতে প্রায় বেশিরভাগ বিক্রেতাই দোকানের সামনে লাল কালিতে লেখা 'মূল্য তালিকা' টাঙিয়ে দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, আস্ত মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে এবং কাটা মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ক্রেতাদের মুরগির মাংসে মন ফেরাতে প্রতি কেজি মাংসের সঙ্গে ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাতেও মন গলছে না ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীদের দাবি, একটু লাভ হবে ভেবে কিছু ক্রেতা আসছেন ঠিকই। তবে তা খুবই কম। অধিকাংশ ক্রেতাই করোনা আতঙ্কে মুরগির মাংসের দোকানের ধারে-কাছেও আসছে না। ফলে লোকসান হচ্ছে প্রচুর টাকা। এভাবে চলতে থাকলে, ব্যবসা করা সম্ভব হবে না বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.