কোভিড-১৯-এর কারণে দেখা দিতে পারে খাদ্যসংকট, খাবার মজুত করে রাখার ফর্মুলাও কাজে আসবে না


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস রুখতে দেশজুড়ে জারি লকডাউন। আর সেই আতঙ্কেই অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্যদ্রব্য সঞ্চয় করে রাখছেন সাধারণ মানুষ। সকলের মধ্যে কেবল একটাই ভয় যে, আচমকা যদি খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কি হবে!! তবে ভয়ে পেয়ে বা আতঙ্কিত হয়ে আপনারা যতই খাদ্য মজুত করে রাখুন না কেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ কিন্তু এখানেই দেখছে অশনি সংকেত।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরো বলেছেন যে 'মুক্ত বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সমস্ত পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হবে। এখন বাণিজ্যকে বাধা দেওয়ার সময় নয়। এখন সময় এসেছে খাদ্যপ্রবাহকে রক্ষা করার।' এটি একটি চেইন রিয়্যাকশন। সামাজিক দূরত্ব এবং বিচ্ছিন্নতার গুরুত্ব বুঝে কৃষকরা ঘন ঘন কাজ করতে সক্ষম হবে না এবং এর ফলে কম খাদ্য উৎপন্ন হবে এবং স্বাভাবিকভাবে রফতানিও হ্রাস হওয়ার ফলে কিন্তু এক তীব্র পরিবর্তন দেখা দেবে।

আর যেসব দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তাতে বহু দেশ তাদের পণ্য বিদেশে রফতানি নিষিদ্ধ করছে, যাতে সরবরাহগুলি তাদের নিজ দেশে পণ্যের অপ্রতুলতা তৈরি না হয়। কাজাখস্তান, যা বিশ্বের বৃহত্তম গম-ময়দার রফতানিকারী দেশ হিসাবে পরিচিত, তা কিন্তু তাঁদের পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। একইভাবে, ভিয়েতনাম, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধান রফতানিকারক দেশ, তারাও আজ অস্থায়ীভাবে ধানেপ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মতো বড় বড় দেশ যারা, বড় রফতানিকারী হিসাবে পরিচিত তারাও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবে দেখছে।

তবে সমস্যা কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে উত্থিত হবে না। কিন্তু যখনই দিন, সপ্তাহ এবং মাস অতিবাহিত হবে এবং পণ্যদ্রব্যের স্টক সংখ্যায় কমবে, তখনই খাদ্য পণ্যগুলির চাহিদা এবং এর সরবরাহের মধ্যে একটি বিশাল ফারাক দেখা দিতে শুরু করবে। আর ঠিক সেই কারণেই বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে ঝোঁকের মাথায় খাবার কিনে মজুত করে রাখা এড়িয়ে চলতে হবে, যাতে যতটা সম্ভব চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.