'ভয় পাবেন না', করোনার কবল থেকে বেঁচে ফিরে এসে কী দাওয়াই দিলেন এই মার্কিন তরুণী


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে সারা দেশ। যেভাবে বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা, তাতে করে আক্রান্তের পাশাপাশি এখনও যারা সুস্থ তাঁদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কিন্তু ভয় না পেয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিলেন করোনাভাইরাসের কবল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এক মার্কিন তরুনী। 

এলিজাবেথ স্নাইডার ওয়াশিংটনের বৃহত্তম শহর সিয়াটেল-এ বসবাস করেন, যেখানে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। বায়োইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করা ওই ছাত্রী তাঁর নিজের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কাহিনি শুনিয়েছেন যাতে আক্রান্ত মানুষরা একটু হলেও আশার আলো পেতে পারেন। তিনি জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কিন্তু তিনি নিজের বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে তিনি আরো যোগ করেছেন, যাদের সংক্রমণ বেশি তাঁরা অবশ্যই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। তবে যদি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে বাড়ির সকলের কাছ থেকে নিজে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 


স্নাইডার আরও জানিয়েছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি পার্টি করে ফেরার পরই ফ্লুয়ের লক্ষণ দেখা দেয় তার শরীরে। পরে আরও জানা যায় ওই একই ঘটনাস্থল থেকে একই সমস্যায় ভুগছেন আরও পাঁচজন। স্নাইডার বলেছেন, সেদিন পার্টি থেকে ফিরে তিনি খুবই ক্লান্ত বোধ করছিলেন। সাধারণত তিনি যেমন অনুভব করেন তার থেকেও যেন বেশি ক্লান্তি বোধ হচ্ছিল। অফিসে পৌঁছানোর পর সারা শরীরে শুরু হয় ব্যথা। তাই সেদিন তাড়াতাড়িই অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি চলে যান তিনি। তারপর সেদিন দুপুর থেকেই জ্বর এবং মাথা এবং শরীরে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। সেদিন শরীরের তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলি তার ছিল না, তাই তিনি ভেবেছিলেন, আর যাই হোক তিনি করোনভাইরাসে আক্রান্ত নন। এরপর চিকিৎসক তাকে পরামর্শ দেন বাড়ি বসে বিশ্রাম নেওয়ার এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাদ্য গ্রহণ করার। যেহেতু সর্দি-কাশির লক্ষণ ছিল না সেইজন্য তিনি করোনা আতঙ্কে ভোগেননি। কিন্তু তাও কৌতুহলবশত COVID-১৯ টেস্ট করানোর পর তিনি পজেটিভ রিপোর্ট পান। 

খবরটি জানতে পেরে তিনি প্রথমে খানিকটা অবাক হয়েছিলেন বটে, কিন্তু পরে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি বিবেচনা। এরপর স্থানীয় চিকিৎসের পরামর্শ মেনে টানা ৭ দিন বাড়িতেই ছিলেন এলিজাবেথ। ওষুধপত্র-খাওয়াদাওয়া সবই মেনে চলছিলেন তিনি। এক সপ্তাহ পর থেকে তিনি একটু হলেও সুস্থ বোধ করছিলেন। এলিজাবেথের পরামর্শ অনুসারে আপনার যদি প্রাণঘাতি লক্ষণ না দেখা দেয় এবং প্রাথমিক স্তরেই করোনা চিহ্নিত করা যায় তাহলে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে করোনা নিরাময় সম্ভব। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.