ফুলসজ্জার রাতে নড়ে উঠল ঘর, আতঙ্কে পালালো নতুন বউ


Odd বাংলা ডেস্ক: ফুলসজ্জা মানেই নববধূদের কাছে তাঁর স্বামীর সঙ্গে কাটানো এক বিশেষ রাত। কিন্তু সেই রোম্যান্টিক মুহূর্তে যদি আপনার ঘরে অতর্কিতে কেউ হানা দেয়, তখন কেমন লাগবে? আর যদি সে মানুষ না হয়ে বিশালাকার দাঁতাল হয় তাহলে ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়া জোগাড়। ঠিক এমনটাই কাণ্ড ঘটল রায়গঞ্জের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সম্প্রতি বিশ্বজিৎ রায় নামক ওই ব্যক্তি ফুলসজ্জায় বিঘ্ন ঘটায় এক হাতি। স্বচক্ষে হাতির হানা দেখে ভয়ে শ্বশুর বাড়ি ছাড়তে প্রস্তুত নববধূ। চাঞ্চল্য রাজগঞ্জের ললিতা বাড়িতে।


গত দু দিন আগে বিশ্বজিৎ রায়ের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় হলদিবাড়ির বাসিন্দা মীনা রায়ের সঙ্গে। গত পরশু মিটে গিয়েছে বৌভাত। বৌভাতের পর গতকাল রাতে তাঁর বাড়িতে অনুষ্ঠানও হয়েছিল। রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে মিনা রায়কে নিয়ে বিশ্বজিৎ ঘুমতে যায়। ভোর রাতে আচমকাই বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে বিশালাকার দাঁতালটি। প্রথমে বাড়ি আশেপাশে সমস্ত কলাগাছ উপরে খায়। এরপর বাড়ির উঠোনে ঢুকে তাণ্ডব চালায় রবিন রায়ের দুটি এক চালার বাড়িতে। দাঁত দিয়ে ফুড়ে দেয় ঘরগুলি।

যদিও এই দৃশ্য বিশ্বজিতের কাছে পরিচিত। কিন্তু শহুরে মেয়ে মিনার কাছে এই অভিজ্ঞতা প্রথম। রাতেই সিদ্ধান্ত নেয় সে এখানে আর থাকবে না। সকাল হতেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে বাপের বাড়ি যাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন। মাথায় হাত স্বামী। বিয়ের এক রাত কাটতে না কাটতে বৌ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে বলে কথা। বিষয়টি রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের কানে যেতেই তড়িঘড়ি তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে চলে আসেন। তিনি নববধূ কে বোঝান যে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় এই সব হয়ে থাকে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বনদপ্তর তাদের পাশে আছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দেন তিনি।

অন্যদিকে বিশ্বজিৎ রায়ের অভিযোগ, বনদফতর সেভাবে টহল দেয়না। কোনও ব্যাবস্থা নেয় না। এর আগেও তাঁর ভাইয়ের বাড়িও ভেঙেছে দাঁতালের দল। ছমাস হল ক্ষতি পুরনের ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্ত ক্ষতিপূরন পাওয়া এখনও পাওয়া যায়নি। ক্ষতিপুরন ছাড়া পাকা বাড়ি তৈরী করে দেবার দাবি জানায় সে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.