স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লেই গোপন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেত স্বামী, আসল কারণ জানলে হবেন অবাক


Odd বাংলা ডেস্ক: রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লেই স্বামী গোপন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেতো অন্য কোথাও। কারন তার স্ত্রী ঘুমের মধ্যে এত জোরে জোরে নাক ডাকে যে তার স্বামীর পক্ষে তার সঙ্গে রাত কাটানো সম্ভব হয়না। আর কিভাবে পালিয়ে যায় সেই কথা শুনলে আপনি অবাক হবেন। একটি ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিলো এই খবর নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছিলো “পাটসি কে” নামের এক পুরুষ প্রতি রাতে তার স্ত্রীর নজর এড়িয়ে নিজের বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরে একটি মদের দোকানে পৌঁছে যেত। আর তার মদের দোকানে যাওয়ার পদ্ধতি ছিল একটু অন্য রকম। সে তার বেডরুমের খাটের নিচে থেকে মদের দোকানের শৌচালয় পর্যন্ত গর্ত খুঁড়েছিল। 

 প্রতি রাতেই স্ত্রী ঘুমিয়ে পরার পর পালিয়ে যেত সে, আর সকালে তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে পরার আগেই সে ফিরে আসতো। সকালে যখন তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠতো তখন তার মুখে অ্যালকোহলের গন্ধ পেত। কিন্তু সে কিছুতেই বুঝতে পারতোনা যে কি করে তার মুখে গন্ধ এলো। দীর্ঘ পনের বছর পর পাটসি ধরা পড়ে। ধরা পড়ার পরেও তার কোন অনুশোচনা ছিলনা। সে হাসি মুখে বলে তার স্ত্রীর নাক ডাকার শব্দ সহ্য হয়না, তাই সে প্রতি রাতে পালিয়ে যেতো মদের দোকানে। সেখানে মদ খেয়ে আবার ফিরে আসতো সেই পথ ধরেই। এত বছর ধরে মদের দোকানের মালিক নিজেও বুঝতোনা যে কোথা থেকে পাটসি আসে। ১৯৯৪ সালে স্টিফেন কিং এর লেখা গল্পের ভিত্তিতে নির্মিত শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সে এই কাজ করেছে। সেখানে যেমন নায়ক জেলখানা খুঁড়ে বেরিয়ে আসে তেমনই পাটসি কিছু করতে চেয়েছিল। সসুড়ঙ্গ খুঁড়তে ব্যবহার করেছিলো কাঁটা চামচ, ড্রিল মেশিন ও আরো অন্য অনেক জিনিস। তার স্ত্রী যখন শপিং করতে বেরিয়ে যেত তখন সে লুকিয়ে লুকিয়ে এই কাজ করতো। বহু বছরের এই প্রচেষ্টার পর সে ২০০৯ সালে সফল হয়। তার ধরা পড়ার কথা ছিলোনা। কিন্তু সম্প্রতি ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করতে সুড়ঙ্গের ফাটল ধরা পড়ে। তবে পাটসির কোন দুঃখ নেই সেই নিয়ে। কারন সে জানত একদিন না একদিন সে ঠিক ধরা পড়ে যাবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.