ছবিটি ZOOM করে দেখার পর রাগে ফোনটাই ভেঙ্গে ফেলতে চাইবেন


Odd বাংলা ডেস্ক: শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানের আলো দেখায়। শিক্ষা মানুষকে ভালো জিনিস ভাবতে সাহায্য করে, ভালো কাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। শিক্ষা সব সময় সব বয়সে গ্রহণ করা যায়। জীবনের সব ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। মানুষ জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে। সেই শিক্ষা যেকোন কারোর থেকে আমরা পেতে পারি। কিন্তু শিক্ষার এক বড় জায়গা হল মা সরস্বতী। তাকে আমরা বিদ্যার দেবী রূপে পুজো করি। আমারা ছোট থেকেই জেনে এসেছি বই বা বিদ্যার কোন জিনিসে পা দিতে নেই। কিন্তু আমারা আজ একটা ছবি দেখবো যেখানে দেখতে পাবো যে একটি রিক্সায় এক মা তার বাচ্ছাকে নিয়ে স্কুল যাচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সেই মা তার হাতে মোবাইল ফোন ধরে আছে আর তার বাচ্ছার বই এর ব্যাগ পায়ের নীচে ধরে আছে। আমারা ছোট বেলায় যখন পড়তে বসতাম তখন পড়া শেষ হলে বই মাথায় ঠেকিয়ে নমস্কার করে উঠতাম। কারন বই হল সরস্বতী। সরস্বতীর স্থান আমাদের মাথায়। 



তাকে পায়ের নীচে রাখা খুব অপরাধের বিষয়। কিন্তু এই মহিলা এই কাজই করলেন। তার কাছে মোবাইল আগে, আর বিদ্যা পড়ে। এখন সবাই তথাকথিত শিক্ষায় শিক্ষিত। সবই পুঁথিগত শিক্ষা। কিন্তু এই ধরনের শিক্ষার কোন দাম নেই। আসল শিক্ষায় শিক্ষিত না হতে পারলে তাহলে শিক্ষা গ্রহণ করে আর লাভ কি? কোন বাচ্ছার মা যদি এরকম কাজ করে তাহলে সেই বাচ্ছা মায়ের থেকে কি শিখবে? পড়ার বই এর ব্যাগ যে পায়ের নীচে পড়ে আছে, আর তা যে রীতিমত পা দিয়ে পিষছে তার বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই এই মহিলার। কিছু মানুষ এমন আছে যারা টাকার জোড়ে শিক্ষাকে নিজের আয়ত্তে আনতে চায়। তাই তারা শিক্ষাকে সম্মান দেয়না। তারা শিক্ষার মূল্য যানেনা। তাই তাদের কাছে বিদ্যা আজ পায়ের নীচে। এভাবেই আজ আমাদের সভ্যতা বোকা বাক্স, মোবাইল, ইন্টারনেট এসবের মধ্যে আটকে রয়েছে। এসবের মধ্যে সবাই এমনভাবে আটকে আছে যে তারা এক মোহের মধ্যে রয়ে গেছে। এখন শিক্ষা যত না ছড়িয়ে পড়ছে তার থেকে বেশি ছড়িয়ে পরছে ইন্টারনেটে ছবি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.