অন্যের মনের কথা জানুন এই পদ্ধতিতে এক নিমেষেই


Odd বাংলা ডেস্ক: মনের ভাব প্রকাশ করি আমরা ভাষার মাধ্যমে। খুব কম মানুষই রয়েছেন যারা অন্যের মনের কথা তাকে দেখলেই বুঝতে পারেন। এই বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ও অধিকারিণী হতে হলে আপনার মাইন্ডকে স্পেশাল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ করতে হবে। ভালোবাসার সম্পর্ক তখনই সুন্দর হয় যখন ভালোবাসার মানুষ আপনার মনের কথা সহজেই বুঝতে পারে। সহজেই মানুষের মনের কথা বুঝতে পারার ক্ষমতাকে মাইন্ড রিডিং বলে। এর ফলে আপনি সহজেই অন্য কারুর মনের ভাব বুঝতে পারেন সে কি ভাবছে বা কি করতে চাইছে তা সহজেই জানতে পারবেন। চাকরির ক্ষেত্রেও ইন্টারভিউ বোর্ডের স্যার ও ম্যাডামরা কি জানতে চাইছে তা সহজেই জানতে পারবেন এই মাইন্ড রিডিং এর সাহায্যে। এর ফলে আপনি পরীক্ষকের মন মত উত্তর দিতে পারবেন। এটা কোন অবিশ্বাস্য ঘটনা নয় এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। এর আগে মাইন্ড সম্পর্কে আপনাদের ধারনা দরকার। মস্তিষ্কে অনেক অনেক গুলো স্তর রয়েছে, এর সর্বপ্রথম স্তর হল কনশাস মাইন্ড তার পর হল সাবকনশাস মাইন্ড তার একটি পার্ট হল আনকনশাস মাইন্ড। অপর পার্ট হল কালেকটিভ বা সুপার কনশাস মাইন্ড এবং সবার শেষে কশমিক কনশাস মাইন্ড। আর এই মাইন্ড টেকনিক শিখতে হলে আপনাকে সুপার কনশাস লেভেলে যেতে হবে। আমরা যখন কোনো কিছু চিন্তা করি তারপর এনালাইসিস করে পরে সিদ্ধান্ত নিই, এর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে কনশাস মাইন্ড। কিন্তু আমাদের আবেগ, ইমোশান, অভ্যাস, জ্ঞান প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের সাবকনশাস মাইন্ড। অর্থাৎ আমারা কনশাসলী যা করি তা গিয়ে স্টোর হয় আমাদের সাবকনশাস মাইন্ডে।


আমরা যদি কাউকে দেখে বুঝতে পারি সে সুখী না দুঃখী কিন্তু মানুষটি কেন দুঃখী বা সুখী তা মানুষটিকে দেখে বুঝতে হলে আমাদের কালেকটিভ কনশাস লেভেল যেতে হবে। এই কালেকটিভ কনশাস লেভেলের দুটি ভাগ রয়েছে ১)সেলফ্ রিয়েলাইজেশন ২) জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেট।
১) সেলফ্ রিয়েলাইজেশন: এর মানে হল নিজের প্রতি বিশ্বাস। আপনি যে এই ইউনিভার্সে বসবাস করেন তা নিজের মনকে বোঝাতে হবে। আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাসটি সুদৃঢ় করতে হবে। নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হবে। ২) জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেট: নিজের ভিতরের পাওয়ারকে ফিল করতে হবে। নিজেকে জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেটে নিয়ে যেতে হবে। এর ফলে ধ্যান করতে হবে। আমরা মাটিতে বসে পা ভাঁজ করে হাত দুটো একত্রিত করে আমাদের ধ্যান করতে হবে।


আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ধ্যান করতে হলে আমাদের কমফোর্ট ফিল করতে হবে। তারপর শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে আস্তে আস্তে এবং নিজের চিন্তাকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। এই ভাবে নিজেকে জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেটে নিয়ে যাওয়া যায়। এর ফলে আমাদের কালেকটিভ কনশাস মাইন্ড এর দরজা খুলে যাবে। এর ফলে আমরা ভেতরে ভেতরে একটি এনার্জি ফিল করতে পারবো। নিজেকে জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেটে নিয়ে যেতে হলে অভ্যাসের প্রয়োজন। এবং এর কতগুলো টেকনিক রয়েছে। এই টেকনিক নিম্নে আলোচনা করা হল।

আপনাকে প্রতিদিন সকালে উঠে ১০-১৫ মিনিট ধ্যান করতে হবে। এবং নিজের চিন্তাকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। প্রথমে করতে গেলে বিভিন্ন চিন্তা মাথায় আসবে কিন্তু দীর্ঘ অভ্যাসের ফলে জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেট পৌঁছাতে পারবেন। এটি করতে পারলে আপনি সহজেই মানুষের মন বুঝতে পারবেন। এবার এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটি নিম্নে আলোচনা করা হল।

আমরা সবাই কোয়ান্টাম ফিজিক্সে পড়েছি যে কোন অবজেক্ট যখন কেউ দেখেনা তখন তা ওয়েভ ফর্মে থাকে। এবং যখন তা নজরে আসে তা পার্টিকেল ফর্মে চলে আসে। এই থিওরির উপর নির্ভর করে আমরা আমাদের সাবকনশাস মাইন্ডেকে শক্তিশালী করতে পারি। আমরা যখন কোন বস্তুকে মন থেকে চাই তা ওয়েভ ফর্মে ইচ্ছা হিসেবে সাবকনশাস মাইন্ডে থাকে। এরপর আমরা ওই জিনিস টিকে যখন দেখি তখন আমাদের সাবকনশাস মাইন্ড ওই ইচ্ছা শক্তিকে পার্টিকেল ফর্মে নিয়ে আসে। এই থিওরির উপর জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেট নির্ভর করে। আমরা যখন এই স্টেটে থাকি তখন অন্যের মাইন্ডের ভায়াব্রেশানকে ফিল করতে পারি।

যখন ওই ভায়াব্রেশান ওই স্টেটে থাকা কোন ব্যক্তির মস্তিষ্কে আসলে ওই ওয়েভ ফর্ম প্রথমে সেমি ওয়েভ ফর্মে পরিনত হয় তারপর সেমি ওয়েভ পার্টিকেল ফর্মে পরিনত হয়। যখন ওই সেমি ওয়েভ পার্টিকেল আমাদের মস্তিষ্কের নিউরোনের সংস্পর্শে এলে আমরা কোন ব্যক্তির মন বুঝতে পারি। আর পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে প্রত্যেক মানুষের কানেকশন রয়েছে। বাতাস যেমন চোখে দেখা যায় না এই কানেকশন ও চোখে দেখা যায় না। যেমন আমরা হয়তো কারুর কথা ভাবছি হঠাৎই তার ফোন চোলে এল। এর থেকে বোঝা যায় প্রত্যেক মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে প্রত্যেক মানুষের কানেকশন রয়েছে। যা জিরো থট মেডিটেডিভ স্টেটে থাকার সময় মানুষের মাইন্ড বুঝতে সাহায্য করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.