ফুলশয্যার রাতে ঘরে ঢুকলেন স্বামী কিন্তু নববধূ তখন জন্ম দিচ্ছিলেন সন্তানের


Odd বাংলা ডেস্ক: বিবাহ এই বিশ্বের সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্ক। প্রতিটি মেয়ে এবং ছেলে নিজের মনের মধ্যে বিয়ে নিয়ে নানারকম খুশির স্বপ্ন দেখে। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে, স্বামীকে সাতটি অঙ্গীকার করতে হয় তার স্ত্রীর প্রতি এবং সাত পাক ঘুরতে হয়। এর পর একে অপরকে সাত জন্ম একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় দুজন মানুষ। কিন্তু আজ আমরা আপনাদের এমন একটি ঘটনার কথা বলতে যাচ্ছি যেখানে সাতটি জন্মের প্রতিশ্রুতি তো দূরের কথা এমনকি সাত ঘন্টার জন্যও বিয়ে স্থায়ী হয়নি, যেটা শুনলে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। ঘটনার কথা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় এবং এই আশ্চর্য্যজনক খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। আসলে এই আশ্চর্য্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের সফিপুর এলাকায়, যেখানে এক নববধূ বিয়ের ফুলশয্যার রাতের আগেই জন্ম দেন এক সন্তানের। ঘটনাটি দেখে মহিলার স্বামীর পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে, মহিলার শ্বশুর তো জ্ঞানই হারিয়ে ফেলেছিলেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সফিপুরের কোতোয়ালি এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দা সুমের পাসীর ছেলে বিমলেশ-এর সাথে অচলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মেবালাল-এর মেয়ে সোনম দেবীর বিয়ে হয়। 

বিয়ের অনুষ্ঠান যথারীতি সম্পন্ন হওয়ার পর স্বামী তার নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফেরে। নতুন বউকে রীতি রেওয়াজ মেনে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাড়ির দরজায় সকলেই হাজির ছিলেন। কিন্তু সেই মূহুর্তেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নতুন বউ। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং জোর জোর চিৎকার করতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই সে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। নিজের বউকে সন্তানের জন্ম দিতে দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় স্বামীর। পাত্রের কাকা বলেন যে, বাড়ির মেয়েরা ঢোল-বাজনা নিয়ে আনন্দ করছিল বাড়িতে নতুন বউ আসার শুভ সময়ে। অনেক অতিথিও এসেছিলেন অনুষ্ঠান বাড়িতে। নববধূর সন্তানের জন্ম দেওয়ার খবর শুনে সমস্ত খুশি নিমেষে উধাও হয়ে যায় এবং সমস্ত গ্রামে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। স্বামী-স্ত্রী ফুলশয্যা করার আগেই জন্ম নিল বাচ্চা। আসলে নববধূ ফুলশয্যার রাতেই এক বাচ্চার জন্ম দেয় এবং সেই দেখে সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে যান এবং মেয়েটির শ্বশুর তো অজ্ঞানই হয়ে যান। অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা ঘটনাটি এলাকা জুড়ে আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি বাচ্চার জন্ম দেওয়ায় পাত্রের পরিবার কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানায় এবং পাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে ধোঁকা দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। পাত্রের নাম বিমলেশ, সে পাত্রীর বাবা-মার বিরুদ্ধে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ এনে তাদের মেয়েকে ফেরৎ নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পুলিশ আপাতত এই ঘটনার সমাধান বের করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারাও যথেষ্ঠ দ্বন্দে রয়েছে কিভাবে এই সমস্যার নিষ্পত্তি করবে। যখন এই খবরটি নববধূর বাবাকে দেওয়া হয়েছিল, তখন নববধূর পিতা কনেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। তখন বরের পরিবারকে পুলিশের সাহায্য নিতে হয়। পুলিশ এই বিষয়টিকে সমাধান করার চেষ্টা করছে। পুলিশ জানায়, বিয়ের আগে গ্রামেরই একজন ছেলের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারই সন্তান মেয়েটির গর্ভে ছিল, যে সন্তান বিয়ের আট ঘন্টা পরই জন্মগ্রহণ করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.