নিহত মায়ের দুধ পান করছে শিশু! যে ছবি কাঁদিয়েছিল গোটা বিশ্বকে...
Odd বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যানে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ছবিগুলির কথা বলা হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে এই ছবিটি মাটিতে পড়ে আছেন এক মা। বয়স ৩০ বছরের বেশি হবে বলে মনে হয় না। গায়ে লাশ রঙের পোশাক আর মুখে তাজা রক্তের ছাপ। বুকের ওপর ভর করে দুধ পান করছে দুগ্ধ পোষ্য শিশু। ছবি দেখে মনে হচ্ছে- শিশুটি খুব ক্ষুধার্ত, তাই আগ্রহ ভরে দুধ পান করছে। অবুঝ এই শিশু জানে না তার মা কয়েক মুহূর্ত পরে আর দুধ দিবে না, এমনকি আর কোনও দিনের জন্যও না।
ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শত শত মানুষ ছবিটি দেখে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। বলা হচ্ছে ছবিটি মিয়ানমার সেনাদের গুলিতে নিহত এক রোহিঙ্গা মুসলমান নারীর। নিহত মায়ের দুধ পানের এ ছবি কাঁদাচ্ছে বিশ্ব বিবেককে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই দেশে চরম মানবিক সংকট চলছে বলে যে খবর দিয়েছে তা প্রতিফলন ঘটেছে এই মর্মান্তিক দৃশ্যে! মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তত ২৬০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছে।
ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শত শত মানুষ ছবিটি দেখে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। বলা হচ্ছে ছবিটি মিয়ানমার সেনাদের গুলিতে নিহত এক রোহিঙ্গা মুসলমান নারীর। নিহত মায়ের দুধ পানের এ ছবি কাঁদাচ্ছে বিশ্ব বিবেককে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই দেশে চরম মানবিক সংকট চলছে বলে যে খবর দিয়েছে তা প্রতিফলন ঘটেছে এই মর্মান্তিক দৃশ্যে! মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তত ২৬০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, মিয়ানমার থেকে পাওয়া নতুন উপগ্রহ-চিত্রে রোহিঙ্গা মুসলিম গ্রামের ২৬ শ’র বেশি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার চিত্র দেখা গেছে। এসব ছবি গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে মিয়ানমার বাহিনির ধ্বংসলীলার মাত্রা যা ভাবা হয়েছিল, তার চাইতে অনেক বেশি বলে ধারণা করছেন তারা। এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলছেন, মিয়ানমারের সৈন্যরা তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অন্য আরও প্রায় ২০ হাজার লোক সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীর তীর বরাবর আটকে আছে। সেখানে এখন চরম মানবিক সংকট চলছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর গত এক সপ্তাহে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
ত্রাণ শিবিরগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে আশ্রয় নিলেও প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউএনএইচসিআরের আঞ্চলিক মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান আল-জাজিরাকে বলেছেন, গত ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর কমপক্ষে ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে। আরও কয়েক হাজার বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ এদের অধিকাংশই অবসন্ন, কেউ বলছে তারা কয়েক দিন ধরে অনাহারে এবং কেউ বলছে গত কয়েকদিনের ঘটনায় তারা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।’
ত্রাণ শিবিরগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে আশ্রয় নিলেও প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়ে চলছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউএনএইচসিআরের আঞ্চলিক মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান আল-জাজিরাকে বলেছেন, গত ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর কমপক্ষে ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে। আরও কয়েক হাজার বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ এদের অধিকাংশই অবসন্ন, কেউ বলছে তারা কয়েক দিন ধরে অনাহারে এবং কেউ বলছে গত কয়েকদিনের ঘটনায় তারা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।’
Post a Comment