ছেলের সঙ্গে যৌনমিলন, পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মায়ের


Odd বাংলা ডেস্ক: নিজের সৎছেলের সঙ্গে যৌন মিলন করায় এক নারীকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লিঙ্কোন ক্রাউন কোর্ট। বুধবার (১১ মার্চ) ওই নারীকে এই সাজা দেন আদালত। তবে ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই নারী নিজের সতছেলের সঙ্গে যৌন মিলন করা শুরু করে ৩০ বছর বয়স থেকে। তখন ওই ছেলের বয়স ছিল ১৬ বছর। পরে হঠাৎ করে ওই নারীর স্বামী বাড়িতে একটি ডিক্টাফোনে (কথা রেকর্ড রাখা এবং পুনরায় শোনার যন্ত্র) লুকিয়ে রাখেন। এতেই প্রথম ধরা পড়ে ওই নারী। এর আগে ওই নারী একদিন তার সতছেলের সঙ্গে নগ্ন হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকে। এই ঘটনা তার স্বামী দেখে ফেলেন। কিন্তু ওই নারী তার স্বামীকে জানায়, ‘মজা’ করার জন্য একসঙ্গে নগ্ন হয়ে শুয়ে ছিল তারা। এরপর থেকে তার সন্দেহ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তিনি বাড়িতে একটি ডিক্টাফোনে লুকিয়ে রাখেন। এতে তাদের যৌন কার্যকলাপ রেকর্ড করেন। এভাবেই ধরা পড়ে ওই নারী। এই ঘটনা পুলিশে জানানো হলে ২০১৩ সালের দিকে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় পুলিশ। 

কিন্তু ওই নারী পুলিশি তদন্তের সময় কোনো তথ্য দেয়নি। এমনকি ওই তরুণও কোনো তথ্য দেননি। তদন্ত শুরু হওয়ার পরে ছেলেটির বয়স যখন ১৬ বছর বলা হয়; তখন তদন্তটি পুলিশ চালিয়ে যায়নি। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লরা পিটম্যান আদালতকে বলেন, আইন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অদ্ভুতভাবে এটি তদন্ত করেনি। এই ঘটনা পুলিশে জানানোর পরো ওই নারী তার স্বামী এবং সতছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। পিটম্যান বলেন, ওই নারী একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর তিনি তার সতছেলেকে জানায় যে, সতছেলে হয়তো গর্ভের সন্তানের বাবা। ওই নারীর গর্ভের সন্তান জন্ম নেওয়ার পর ডিএনএ টেস্ট করা হয়। এরপর জানা যায় যে ওই সন্তানের বাবা তার সতছেলেই। তারপর ওই নারীর সতছেলে পুলিশের কাছে মুখ খুলেন। পুলিশকে তার ও তার সতমায়ের বিষয়ে সকল তথ্য খোলে বলেন। তাদের যৌন কার্যকলাপের ব্যাপারে বলে দেন। বর্তমানে ওই নারীর বয়স ৩৮ বছর। তার বিরুদ্ধে ওরাল সেক্সসহ তিন ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে আদালত আজ তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই নারীকে যৌন অপরাধী হিসেবে নিবন্ধন করার আদেশ দিয়েছেন। লিঙ্কোন ক্রাউন কোর্টের বিচারক জুলি ওয়ারবার্টন বলেন, এটি এক ধরনের ভীতিজনক কাজ। এই ধরনের কাজ সমাজের জন্য ভীতিজনক।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.