এই ঠাকুরের পূজা ভুলেও বাড়িতে কখনওই নয়,নেমে আসবে বিপদের ছায়া
Odd বাংলা ডেস্ক: সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি যে কোনও অবস্থাতে পূজা করা যায় না। কারণ, এতে হিতে বিপরীত হয়। ঈশ্বর উপাসনা করতে গিয়ে জেগে উঠতে পারে অশুভ শক্তি।সনাতন ধর্মের কেন্দ্রে রয়েছে পৌত্তলিকতা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, নিরাকার দেবতা উচ্চস্তরের ভাবুকদের জন্য, কিন্তু সাধারণ মানুষ সাকার দেবতার কাছেই খুঁজে পান প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি। ভারতীয় ঐতিহ্যে তাই পৌত্তলিকতা এক অতি সাধারণ ব্যাপার। অন্য ধর্মের বিন্দু থেকে এই পৌত্তলিকতাকে যত আজবই লাগুক না কেন, বাড়ির ঠাকুরঘরে রাখা মূর্তি ক্রমে যেন পরিবারেরই একজন হয়ে ওঠে। সে আর ‘দূরের ঈশ্বর’ থেকে না কিন্তু যে কোনও মূর্তি, যে কোনও অবস্থাতেই কী পূজ্য? সনাতন ধর্ম ও ভারতীয় পরম্পরা মূর্তিপূজার বিষয়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়। আজ আমরা এই সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের জানাব।তাই অবশ্যই পড়ুন প্রতিবেদনটি আর জেনে নিন এ বিষয়ে। সনাতন ধর্ম মতে, যে কোনও মূর্তি যে কোনও অবস্থাতে পূজা করা যায় না।
কারণ, এতে হিতে বিপরীত হয়। ঈশ্বর উপাসনা করতে গিয়ে জেগে উঠতে পারে অশুভ শক্তি।তাহলে এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক, সনাতন ধর্ম মতে, কোন কোন মূর্তি বর্জনীয়।
কোনও মূর্তি পিছন ফিরে থাকা অবস্থায় পূজা করা যায় না। এমনকী, মূর্তির পিছন দিকটি দেখাও সমস্যার উদ্রেক করতে পারে।তাই অবশ্যই এ ধরনের কোনো মূর্তি থাকলে তা অবশ্যই জলে ভাসিয়ে দেবেন।না হলে আপনাদের বাড়িতে অমঙ্গল এর ছায়া নেমে আসবে।
একই দেবতার দু’টি প্রতিমা ঠাকুর ঘরে না রাখাই উচিত। এমনকী, তাদের চেহারা আলাদা হলেও নয়। তবে, একই দেবতার ছবি ও মূর্তি একত্রে রাখা যেতে পারে।তাই অবশ্যই এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন।
• ভাঙা বা ফাটা মূর্তি কখনই পূজা করা উচিত নয়। এমন মূর্তিকে বিসর্জন দেওয়াই শ্রেয়। কোনও নদীর জলে বা অশ্বত্থ বৃক্ষের নীচে তার নিরঞ্জন প্রয়োজন।
• গৃহে কোনও যুদ্ধরত দেবতার মূর্তি না রাখাই বাঞ্ছনীয়। এতে গৃহকল্যাণ বিঘ্নিত হয়। দুর্গামূর্তি তাই আলাদা দেউলে পূজা করা হয়।
• বাস্তুশাস্ত্র মতে, দেবমূর্তিকে গৃহের উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে রাখাই শ্রেয়। লক্ষ রাখা দরকার, সেদিকে যেন রান্নাঘর বা স্নানের ঘর না থাকে।
• যে মূর্তিগুলিতে অতিমাত্রায় আবেগ প্রকাশিত হয়, সেগুলি বাড়ির ঠাকুরঘরে না রাখাই ভাল। যেমন নটরাজ মূর্তি। গৃহদেবতার মূর্তি শান্ত হওয়া প্রয়োজন।
আশা করি আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাদের সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এবং আগামী ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়গুলি মাথায় রেখে এগিয়ে যাবেন ।তা হলে আপনাদের পরিবারের সুখ শান্তি বজায় থাকবে। আপনিও থাকবেন হাসিখুশি। আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং অন্যদের জানিয়ে দেবেন এই ধরণের আরও খবরা খবর পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং অপেক্ষা করুন পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোর জন্য।
Post a Comment