করোনা সনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক্স-রে, সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল!


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। সনাক্ত করণের কার্যকর কিটের অভাবে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে লাশের সারি। প্রাথমিকভাবে এই ভাইরাসকে সনাক্ত করা সম্ভব হলে হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যেত। তবে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে করোনা সনাক্তের বিশেষ এক্স-রে আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে ভারতের বিজ্ঞানীরা।
টিবি রোগ ধরতে আগেও এমন চেস্ট-এক্স রে বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল মুম্বাইয়ের এই সংস্থা। এবার সেই প্রযুক্তির সঙ্গেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জুড়ে দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য ফের এমনই এক্স-রে মেশিন বানিয়েছে তারা। এবারের প্রযুক্তি আরও উন্নত। সেকেন্ডের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে, এমনটাই দাবি মুম্বইয়ের কোয়ারি ডট এআই (Qure.ai)ফার্মের।
যক্ষার সংক্রমণ ধরতে এই সংস্থারই বিশেষ চেস্ট এক্স-রে একসময় কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছিল। 'নেচার' জার্নালে এই এক্স-রে প্রযুক্তির কথাও লিখেছিলেন সংস্থার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়াররা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালেও সাফল্য মিলেছে। দেখা গেছে, খুব দ্রুত সংক্রমণ ধরে দিতে পারে এই এক্স-রে। খুব তাড়াতাড়ি গোটা ভারতে এই টেকনোলজি ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়র।


কী ভাবে কাজ করে এই এক্স-রে?
সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়র বলেছেন, এক্স-রে টেকনোলজির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলে এই এক্স-রে টেকনোলজির সাহায্যেই সেই সংক্রমণ ধরে দেওয়া যায়। ফুসফুসের অবস্থা কেমন, কতটা গভীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, শরীরে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কি-না, খুব কম সময় সঠিক রিপোর্ট দিতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক্স-রে।
তাছাড়া, যক্ষা রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণ, জরুরি অবস্থা যেমন ফুসফুসের কার্যকারিতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, হৃদরোগের সম্ভাবনা সবই নির্ভুল ভাবে ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে টেকনোলজি।
সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, কোভিড-১৯ টেস্ট কিট এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। একসঙ্গে অনেক রোগী চলে এলে দ্রুত সংক্রমণ নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। সেখানে ভরসা হতে পারে এই টেকনোলজি। ডাক্তার ও রেডিওলোজিস্টরা এই প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই রোগ ধরতে পারবেন। তাছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়েছে সেটা ধরতে পারলে চিকিৎসাও অনেক তাড়াতাড়ি ও নির্ভুলভাবে হবে।
সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়রের কথায়, 'এই এক্স-রে সবচেয়ে আগে পরীক্ষা করে শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা। ভাইরাল নিউমোনিয়ার সংক্রমণ যদি মৃদুও হয়, সেটাও সেকেন্ডের মধ্যে বলে দেবে এই এক্স-রে। রোগীর শ্বাসযন্ত্রে আর কী কী সমস্যা তৈরি হয়েছে তারও বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে এই টেকনোলজি। সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে এর পরেই সেই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আরটি-পিসিআর টেস্ট করা যেতে পারে।'
Blogger দ্বারা পরিচালিত.