বিশ্ব জুড়ে করোনায় আক্রান্ত ৩ লাখ ছাড়ালো


Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৪ জন দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭ হাজার ৭২০ জন। বিশ্বের ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তবে এখন পর্যন্ত ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২১ মার্চ) চীনে আরো ৬ জন মারা গিয়েছেন। চীনে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ২৬১ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫৪ জন। 

এর মধ্যে মোট ৭২ হাজার ৪৪০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার একদিনই রেকর্ড ৭৯৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৮২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মোট ছয় হাজার ৭২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৭৬ জন। স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭৮ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ৪৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭৮ জন। জার্মানিতে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ২২ হাজার ৩৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ২০৯ জন। ইরানে মোট ২০ হাজার ৬১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৫৬ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৬৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬২ জনে। দেশটিতে ইতোমধ্যে ১৪ হাজার ৪৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮৭ জন। অন্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ১০৪, সুইজারল্যান্ড ৮০, যুক্তরাজ্য ২৩৩, নেদারল্যান্ড ১৩৬, অস্ট্রিয়া ৮, নরওয়ে ৭, সুইডেন ২০, বেলজিয়াম ৬৭, ডেনমার্ক ১৩, কানাডা ১৯, মালয়েশিয়া ৮, পর্তুগাল ১২, জাপান ৩৬, ব্রাজিল ১৮, ইরাক ১৭, পাকিস্তান ৩, ভারত ৫ ও বাংলাদেশে ২ জন মারা গেছেন। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং পোষা প্রাণির সংস্পর্শ এড়িয়ে যেতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.