সপ্তাহে সাতদিন সকালের জলখাাবারে খান পান্তা ভাত! তারপর দেখুন ম্যাজিক


Odd বাংলা ডেস্ক: ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’,এই প্রবাদটি বাংলায় খুব পুরোনো। তবে নুন আনতে কারোর পান্তা ফুরোলেও পান্তা ভাতের প্রতি বাঙালির আবেগ কোনোদিনই ফুরিয়ে যাবে না। ঠান্ডা পান্তাভাতের সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা বাঙালির পেট ভরাবার সাথে সাথে মনটাকেও ভরিয়ে তোলে। সাধারণত নুন, কাচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ মিশিয়ে এই পান্তা ভাত খাওয়া হয়, অনেকেই আবার এর সাথে আলু ভর্তা,বেগুন ভর্তা, ডাল ভর্তা বা সরিষার তেল দিয়ে রুচি বৃদ্ধি করে থাকে।

রাতে ভাত বেশি হয়ে গেলে সেই ভাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল ঢেলে রেখে দিলেই পরেরদিন সকালে তৈরী হয়ে যায় পান্তাভাত। তারপর সেটাকে খাওয়া হয় কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজের সাথে। এই পান্তাভাত খেয়ে ঘুম দেয়নি এইরকম বাঙালি খুঁজে পেতে গেলে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে।

পান্তাভাত বাঙালির প্রিয় তো বটেই, সাথে রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই পান্তাভাত খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।

খাবার আগে যদি এর পুষ্টি মুল্য জানা থাকে তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কতটুকু খাওয়া দরকার, সঙ্গে সচেতন থাকতেও পারবেন। তবে বাইরের হোটেলের ভাতকে পান্তা করে খাওয়া একদমই উচিৎ নয়, শুধুমাত্র ঘরের তৈরী পান্তভাতই বেশি উপকারী।

কি ধরনের চাল দিয়ে ভাত রান্না করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে পান্তা ভাতের ক্যালরী। ১ কাপ ভাতে প্রায় ২০০-২৪২ ক্যালরী থাকে। অনেকে পান্তা ভাতের সাথে ঘি খেয়ে থাকেন। ১ টেবিল চামচ ঘিতে থাকে ১১২ ক্যালরী। দই পান্তা ও জিরা পান্তাতে আরও অনেক বেশী ক্যালরী থাকে। কারণ এগুলো ব্যবহৃত হয় টক দই ও তেল।

১০০ গ্রাম পান্তাভাতে পটাশিয়াম থাকে ৮৩৯ মিলিগ্রাম এবং ক্যালসিয়াম থাকে ৮৫০ মিলিগ্রাম, যেখানে সমপরিমাণ গরম ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্র ২১ মিলিগ্রাম। এছাড়া পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে হয়ে যায় মাত্র ৩০৩ মিলিগ্রাম যেখানে গরম ভাতে সোডিয়াম থাকে ৪৭৫ মিলিগ্রাম।

পান্তাভাত ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ এর ভালো উৎস। এটি শর্করাসমৃদ্ধ জলীয় খাবার। তাই এটি গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখে। এছাড়া গরমে অতিরিক্ত ঘাম বেরোলে শরীরের জলের অভাব মেটায় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।

পান্তাভাত খেলে শরীর হালকা এবং কাজে বেশি শক্তি পাওয়া যায়, কারণ এটি ফারমেন্টেড বা গাঁজানো খাবার। মানবদেহের জন্য বহু উপকারী ব্যাকটেরিয়া পান্তা ভাতের মধ্যমে বেড়ে ওঠে। পান্তাভাত পেটের রোগ ভালো করে, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে, শরীরে সজীবতা বজায় রাখে এবং তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.