পেছন ফাটা প্যান্ট দিয়ে হাওয়া ঢুকে মৃত্যু দিল্লীর যুবকের


Odd বাংলা ডেস্ক: বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে ঠাট্টা-তামাশা হয়েই থাকে। বন্ধু মানেই তো তাই। মজা করবে, ইয়ারকি করবে, একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা করবে। কিন্তু কখন কি হয় সে কথা কেউ কখনও বলতে পারেনা। ইয়ারকি করতে গিয়ে সেই ইয়ার্কি যে যখন কান্নার কারন হয়ে দাঁড়ায়, তখন আফসোস করা ছাড়া কিছু করার থাকেনা। তবে মজা করতে গিয়ে মৃত্যু হওয়ার ঘটনা তেমন শোনা যায়না। শুনে হয়তো অবাক লাগবে কিন্তু সত্যিই এমন এক ঘটনা ঘটেছে দিল্লীর এক শহরে। যুবকের নাম রবিন্দর। ফাটা প্যান্টের ভিতর দিয়ে মলদ্বারে হাওয়া প্রবেশ করে মৃত্যু হয় রবিন্দরের। যুবক কাজ করতেন দিল্লীর নানগ্লোই এলাকার স্বর্ন পার্কের একটি প্লাইউড কারখানায়।

রবিবার একটি ফাটা প্যান্ট পড়ে কাজে যায় রবিন্দর। ঘটনাটি সেদিনই ঘটে। কাজের মাঝে নিচু হয়ে মাটি থেকে কিছু তুলতে যায় রবিন্দর। আর তখনই পন্ডিত নামে তার এক সহকর্মী বন্ধু রবিন্দরের প্যান্টের ফাটা অংশ লক্ষ্য করে হাই প্রেসারের হাওয়ার পাইপ দিয়ে হাওয়া দেয় তার মলদ্বারে।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর থেকেই পেটে ব্যাথা অনুভব করতে থাকে রবিন্দর। তারপর সে সেই ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। কিন্তু লজ্জায় ডাক্তারের কাছে পুরো ঘটনাটি লুকিয়ে যান। এমনকি ডাক্তার তাকে অস্ত্রপ্রচারের কথা বললেও সে সত্যি ঘটনা জানায়নি ডাক্তারকে।

অবশেষে আর শেষ রক্ষা হয়নি রবিন্দরের। ১ দিন পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে সে। চিকিৎসক জানিয়েছেন যে এয়ারজেটের দ্বারা মলদ্বারের ভিতর দিয়ে হাওয়া ঢোকার ফলে সেই হাওয়া ক্ষুদ্রান্তে প্রবেশ করে। আর তার জন্যই পেটে ব্যাথা শুরু হয় যুবকের।

চিকিৎসকরা বলেন যদি সে প্রথমেই সত্যি কথা জানিয়ে দিত তাহলে হয়তো প্রান রক্ষা হত। কিন্তু সময় মত না জানানোয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গেছে।
রবিন্দরের মৃত্যুর পর পন্ডিত নামে সেই ব্যক্তির ওপর অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে রবিন্দরকে খুন করার কোন অভিপ্রায় ছিলনা পন্ডিতের। নিতান্ত মজার ছলেই এই ঘটনা ঘটে। পন্ডিত নিজেই খুব দুঃখিত এই কাজ করে।
দিল্লীতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো রবিন্দর। পরিবারের সব দায়িত্ব ছিল তার ওপর। তার অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারের অবস্থা হয়ে উঠেছে শোচনীয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.