করোনায় ধস নেমেছে ব্যবসায়, অনলাইনে অর্ডার নিচ্ছেন যৌনকর্মীরা
Odd বাংলা ডেস্ক: মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। করোনার ছোবলে ছেদ পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার যৌনপল্লির রঙিন জীবনে। বন্ধ হয়ে গেছে তাঁদের ব্যবসা। ফলে বাধ্য হয়ে যৌনকর্মীরা এখন অনলাইনে কাজের প্রতি উৎসাহিত হয়েছেন।
যৌনকর্মীদের কাজটিতে প্রচুর স্পর্শ জড়িত এবং সামাজিক দূরত্ব সম্ভব নয়। ফলে কোভিড-১৯ এর সময়কালে যৌনকর্মী এবং নগ্ন শিল্পীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। আসন্ন জাতীয় লকডাউনের সময় তাদের জীবিকা নির্বাহ করা আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠবে।
কোভিড -১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে, যৌনকর্মী এবং নগ্ন শিল্পীদের ব্যবসা ততই দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
গাউতেং শহরের যৌনকর্মী এবং যৌনকর্মীদের জন্য গঠিত একটি সংগঠন সিসনক'র ওয়েবসাইটে ব্যবসা কমতে থাকায় যৌনকর্মীদের অনলাইনে কাজ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিসনকের গাউতেংয়ের মুখপাত্র কাতলেগো রাসবেটসে বলেছিলেন যে, জাতীয় লকডাউন ব্যবসায়কে ক্ষতিগ্রস্থ করবে, এসময় বিকল্প হিসাবে অনলাইনে কাজ করাই হবে সবচেয়ে নিরাপদ।
তিনি আরও বলেন, 'এখন দেশে একটি সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় যৌনকর্মীদের অনলাইনে কাজ করা নিরাপদ। আমরা যৌন কর্মীদের আপাতত অনলাইনে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। কোনও শারীরিক যোগাযোগ না করেই তারা অনলাইনে তাদের ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, মনোরঞ্জন করতে পারে।'
মোদ্দুজি জাওয়ান, পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারীদের একজন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং আসন্ন লকডাউন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তিনি। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক জানিয়েছেন যে, মহামারিটি তাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং তিনি আশঙ্কা করছেন যে এখনও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসেনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা তার।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ ক্লায়েন্টদের সাথে শারীরিক যোগাযোগ এবং আলাপচারিতার সাথে সম্পর্কিত। লকডাউন আমাদের জীবিকা অর্জনকে মারাত্মক প্রভাবিত করবে। করোনাভাইরাস আমাকে প্রভাবিত করছে এবং জাতীয় লকডাউন শুরু হলে এটি আরও খারাপ হবে।'
যখন করোনাভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল, তখন কিছু লোক বুকিং বাতিল এবং স্থগিত করে দেয়। জাওয়ানের মঞ্চের নাম ক্যাডবারি হঙ্ক। করোনার কারণে তার নিশ্চিত বুকিংগুলি হয় বাতিল করা হয়েছে বা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছিলেন, এরই মধ্যে আমাদের গিগসগুলো বাতিল হয়েছে। আমরা যে ক্লাবগুলির সাথে কাজ করি তারা এই সমস্যা (করোনাভাইরাস) মোকাবেলা না করা পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন। পুরো মাস চলে যাবে আমার হাতে কোনও টাকা আসবে না।
জাতীয় এই লকডাউনের সময় জাওয়ানে তার ব্যবসা ও পরিষেবাগুলি অনলাইনে সরানোর চেষ্টা করবেন জানিয়ে বলেন, 'আমাদের বেশিরভাগ লোক অনলাইনে গিয়ে লাইভ ওয়েবটি ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি এটি আপাতত বিকল্প উপায় হতে পারে। তবে আমাকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। আমার কাছে অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও উপায় নেই।'
জাওয়ানে বলেছেন, সিসনকে এবং আফ্রিকান সেক্স ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স (আসওয়া) যৌনকর্মীদের তাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য সুরক্ষার কিট সরবরাহ করেছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রাসবেটসে বলেছিলেন যে, জাতীয় লকডাউনটি যৌনকর্মীদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। বেশিরভাগ যৌনকর্মী এই কাজের উপর নির্ভরশীল। এখন যেহেতু একটি জাতীয় লকডাউন হবে এবং লোকজনের চলাচল মারাত্মকভাবে সীমাবদ্ধ থাকবে, আমরা যৌনকর্মীদের বেশিরভাগকে পতিতালয় থেকে লাথি মেরে ফেলে দিতে দেখতে পাচ্ছি, কারণ তারা ভাড়া দিতে পারে না। আমরা এখন যৌনকর্মীদের বিকল্প রাস্তা খোঁজার কথা বলছি, কারণ লকডাউনে পতিতালয়গুলির ব্যবসা বন্ধ হয়েছে।
Post a Comment