করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে, ভিডিও কলেই মৃত বাবার শেষ যাত্রা দেখল যুবক!


Odd বাংলা ডেস্ক: মহামারি হল এমন এক ধ্বংসাত্মক শক্তি যা মানব ট্র্যাজেডির আকার ধারণ করে। এমনই এক ট্র্যাজেডির শিকার হয়েছেন ৩০ বছরের লিনো আবেলের সঙ্গে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণের কারণে আইসোলেশন রুমের মধ্যে থেকে বাবার শেষ যাত্রা দেখেছিলেন লিনো আবেল। ঘটনাটি কেরলের।

গত ৮মার্চ কাতার থেকে ফেরার পর আবেলের শরীরে করোনার একাধিক লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তারপর তাঁকে কোট্টায়াম মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, এক মধ্যেই অসুস্থ ছিলেন তাঁর বাবা। এরপর ৯মার্চ তাঁর বাবার একটা স্ট্রোক হয় এবং মারা যান তিনি। দুঃখের বিষয়, একই হাসপাতালে থেকেও নিজের বাবাকে কাছ থেকে একবার দেখার সুযোগ পেল না আবেল!

অগত্যা হাসপাতালের জানলা থেকেই বাবাকে শেষবারের মতো দেখল সে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে আবেল লেখেন, তিনি করোনা আক্রান্ত না হলে শেষবারের মতো একবার তিনি তাঁর বাবাকে দেখতে পেতেন। কিন্তু তিনি আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর রোগটি যাতে বাকি কারওর মধ্যে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য নিজেকে আইসোলেশন রুমেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে তাঁর বাবার শেষ যাত্রা তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখেছিলেন। শেষ যাত্রায় শায়িত বাবার নিথর দেহ কাছ থেকে না দেখতে পারার একটা আক্ষেপ সারা জীবনের জন্য তার মধ্যে রয়ে যাবে। 


এই ঘটনা নাড়া দিয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকেও। তাঁর কথায় এটি একটি চরম দুঃখজনক পরিস্থিতি। যুবকটি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্যই এতটা পথ ভ্রমণ করেছিল। কিন্তু দেশে ফিরে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাবার সঙ্গে আর দেখা করতে পারেনি। তবে নিজেকে বন্দি রাখার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তা অত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছেন এবং সমাজের প্রতি যে তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেই দিকটিও স্পষ্ট। 

প্রসঙ্গত, পরে থেকে তাঁর রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় লিনো আবেল তাঁর নিজের বাড়ি ইদ্দুকিতে ফিরে যাবেন বলে খবর। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.