আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আবিষ্কার করেছিলেন এই বিস্ময় তরুণী


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস ভারতবর্ষে মহামারির আকার ধারণ করেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির অঙ্গ হিসাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার একটি অত্যাবশকীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন যে, করোনা ঠেকাতে সারাদিনে বারবার হাত হ্যান্ড ওয়াশ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করে নিন। সম্প্রতি যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে, জানেন সেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রথম কে তৈরি করেছিলেন?

একটা সময় যখন হাত ধোয়ার জন্য মানুষের কাছে সাবান বা লিকুইড সোপ ছাড়া আর কোনও অপশন ছিল না, তখন নার্সিং-এর এক ছাত্রী লুপ হার্নান্ডেজ-এর মনে হয়েছিল এমন কোনও হাত ধোয়ার জিনিস থাকা উচিত, যার সাহায্যে জল ছাড়াই হাত পরিষ্কার করা যায় সেইসঙ্গে যা জীবাণুনাশকও হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার বেকার্সফিল্ডে, জন্মসূত্রে লাতিন আমেরিকান এই তরুণী হাসপাতালে কাজ করার সময় অনেকক্ষেত্রেই হাতের কাছে গরম জল বা সাবান তাকে না। সেইসব ক্ষেত্রে ডাক্তাররা রোগীর কাছে যাওয়ার আগে কীভাবে হাত পরিষ্কার করবেন, সেই থেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ভাবনা জন্ম নেয়। 

লুপের মনে হয়েছিল হাতের কাছে জল এবং সাবান না থাকলে তার বিকল্প হতে পারে অ্যালকোহল। তাই অ্যালকোহকে জেল ফর্মুলায় নিয়ে আসার ভাবনা আসে তাঁর মাথায়। এরপর তা বানাতে সফল হন লুপ। এরপর তাঁর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে তিনি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি একটি সংস্থার সন্ধান পেয়েছিলেন, যাদের মাধ্যমে তিনি পেটেন্ট নথিভুক্ত করেন। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তবে তাঁর ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি বর্তমানে তিনি বেঁচে আছেন কিনা সেই তথ্যও অধরা। অথচ আজ তারই আবিষ্কার মানুষের প্রত্যেক ঘণ্টার সঙ্গী। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.