ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে কেঁপে ওঠেন আপনি ?


Odd বাংলা ডেস্ক: ঘুম আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, এর কোন বিকল্প নেই। শরীরের যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য শক্তি সঞ্চয় করি আমরা ঘুম থেকে। বড়ো ও ছোট সবার যথাযথ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য ঘুম এর খুব বেশি দরকার। নবজাতকের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য দরকার ১৬ থেকে ১৭ ঘন্টা দিনে ঘুম। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের ৬-৭ ঘণ্টা। কথায় আছে ঘুমালে ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে।
একথা যেমন সত্য তেমনই যথাযথ পরিমাণে ঘুম না হলে মানুষ তার কাজের জন্য শক্তি পায় না। আসতে পারে হাজার শারীরিক সমস্যা। আজ কাল দৌড় ঝাঁপময় ব্যাস্ত জীবন যাপন করতে কমছে ঘুম। ঘুম যে সব মানুষের কম তারা জানে এর কষ্ট। দিনের শেষে দু দন্ড শান্তিপূর্ণ ঘুম সবাই ভালবাসে। আর এই ঘুমের মধ্যে যদি বিভিন্ন ধরনের ব‍্যাঘাত ঘটে তবে তা খুব একটা ভালো না।
নিদ্রাহীন জীবন যাপন এক রকমের অভিশাপ বলা যেতে পারে। নিদ্রারত রাজা ডানকান কে খুন করে ম্যাকবেথ (শেক্সপীয়ারের এক নায়ক) পেয়েছিলেন এক নিদ্রাহীন জীবনের অভিশাপ। সেই জীবনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ম্যাকবেথ মৃত্যুকে শ্রেয় বলে মনে করেছিলেন।
ঘুমের সময় একটি ব্যপার অনেকসময় ঘটে থাকে। যখন দু-চোখ বুঝে আসছে ঘুমে ঠিক সেই সময়ই প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব হয়। হঠাৎ কেঁপে ওঠে সারা শরীর। মনে হয় যেন খুব উঁচু কোনো জায়গা থেকে মাটিতে পরলেন আপনি। বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষের সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটে। কখনো ভেবেছেন এরকম কেন হয়?
বিজ্ঞানের ভাষায় এর একটি গালভরা নাম ও আছে – হিপনিক জার্ক। অনেক বিজ্ঞানীদের মতে সাধারণত ঘুম যখন গাঢ় থাকে, তখন অন্য কোনও অঙ্গ নড়ে উঠলে শরীর এমন কেঁপে ওঠে। এছাড়া বাইরের কোন শব্দ ও চড়া আলো চোখে পড়লেও এমন কম্পন অনুভব করতে পারে মানুষ।
এই কান্ড আর এক সময় ঘটে থাকে। শরীরে বিশেষ কিছু রাসায়নিকের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে গেলে মস্তিষ্ক সেগুলি না বুঝে তড়িঘড়ি শরীরকে সতর্ক দেওয়ার চেষ্টা করে।
এই কারণে আমাদের অসুবিধা হলেও দেহের কোন বিশেষ ক্ষতি কারুর হয়না। তবে ঘুমের মধ্যে অসাবধানতা বশত অনেক সময় ঝাঁকুনির কারণে আবার ঘাড়ে লেগে যেতে পারে সেটা খুবই কষ্টের কারণ হতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.