ভারত-চিন সীমান্তে আজও ঘুরে বেড়ায় হরভজন সিং-এর আত্মা
Odd বাংলা ডেস্ক: ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর। ভারতীয় আর্মি থেকে অবসর নেন ক্যাপ্টেন হরভজন সিং। বাইরে থেকে দেখলে খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা বলে মনে হলেও এরকম অভিনব অবসর ভারত তথা পুরো বিশ্বের কোনো সেনাবাহিনী আগে কখনো দেখেনি। কারণ অবসর নেয়া ক্যাপ্টেন কোনো জীবিত ব্যক্তি নন, বরং ৩৮ বছর আগেই মারা যাওয়া হরভজন সিং-এর ভূত।
হরভজন সিং-এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০শে আগস্ট, পাঞ্জাব প্রদেশের ব্রন্ডাল গ্রামে। পাঞ্জাবের ডিএভি হাইস্কুল থেকে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সিপাহী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে তার পোস্টিং হয় সিকিম রাজ্যের ভারত-চীন সীমান্ত পয়েন্ট নাথুলাতে। বরফঘেরা পাহাড়ে চীনের সাথে ভারতের নাথুলা সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে ছিলেন হরভজন সিং। সেইবছর বরফপাত অন্যান্য বছর থেকে বেশি হয়েছিল।
বিপদসঙ্কুল আবহাওয়ায় মাল পরিবহনের সময় বরফ ধ্বসের কবলে পরেন হরভজন। তখন রাস্তা থেকে পাহাড়ের পাশে বয়ে চলা নদীতে তিনি পরে যান। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। নদীর স্রোতের সাথে তার মৃতদেহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে চলে যায়। নিখোঁজ হরভজনকে খোঁজার কাজে লেগে পরে তার ইউনিটের সৈন্যরা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়াতে মৃতদেহ খোঁজার জন্য ২ দিনের ব্যর্থ চেষ্টার পরে তারা তাদের অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
হরভজন সিং-এর জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০শে আগস্ট, পাঞ্জাব প্রদেশের ব্রন্ডাল গ্রামে। পাঞ্জাবের ডিএভি হাইস্কুল থেকে স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ১৯৬৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সিপাহী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ শেষে তার পোস্টিং হয় সিকিম রাজ্যের ভারত-চীন সীমান্ত পয়েন্ট নাথুলাতে। বরফঘেরা পাহাড়ে চীনের সাথে ভারতের নাথুলা সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে ছিলেন হরভজন সিং। সেইবছর বরফপাত অন্যান্য বছর থেকে বেশি হয়েছিল।
বিপদসঙ্কুল আবহাওয়ায় মাল পরিবহনের সময় বরফ ধ্বসের কবলে পরেন হরভজন। তখন রাস্তা থেকে পাহাড়ের পাশে বয়ে চলা নদীতে তিনি পরে যান। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। নদীর স্রোতের সাথে তার মৃতদেহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে চলে যায়। নিখোঁজ হরভজনকে খোঁজার কাজে লেগে পরে তার ইউনিটের সৈন্যরা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়াতে মৃতদেহ খোঁজার জন্য ২ দিনের ব্যর্থ চেষ্টার পরে তারা তাদের অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় সাধারণ এক সৈনিকের বাবা হরভজন সিং বনে যাবার কাহিনি।
অভিযানের সমাপ্তির পরে একরাতে হরভজনের ইউনিটের এক সিপাহির স্বপ্নে দেখা দেন হরভজন সিং। তিনি নিজের মৃত্যুর খবর তাকে জানান এবং তার মৃতদেহ এখন কোথায় আছে তাও বলে দেন। তার মৃতদেহ যেখানে আছে সেখানে এক সমাধি স্থাপন করতেও নির্দেশ দেন তিনি। আর মৃত্যুর পরেও সীমান্ত পাহারা দেয়া চালিয়ে যাবেন বলে তাকে জানান হরভজন সিং।
সিপাহির ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি তার এই স্বপ্নকে নিজের বেদনাহত মনের কল্পনা বলে মনে করেন। কিন্তু একই ইউনিটের আরেক সিপাহী যখন একই স্বপ্ন দেখলেন তখন সবার সন্দেহ হল। দুই ব্যক্তির একই স্বপ্ন দেখা কাকতালীয় ঘটনা নাও হতে পারে। তাদের দুইজনের স্বপ্নে যে জায়গাটির কথা বলা হয়েছিল সেখানে একটি সার্চ পার্টি পাঠানো হল এবং সে জায়গাতেই হরভজন সিং-এর মৃতদেহ পাওয়া গেল। স্বপ্নে দেয়া নির্দেশ অনুসারে সেখানেই তার সমাধি স্থাপন করা হল। কিন্তু কাহিনির সমাপ্তি এখানেই হল না।
এই ঘটনার পর থেকেই ভারত ও চীন উভয় সীমান্ত থেকেই সৈন্যরা একজন ইউনিফর্ম পরিহিত সিপাহীকে ঘোড়ায় বসে একা সীমান্ত পাহাড়া দিতে দেখতে পায় বলে জানায়। সীমান্ত পাহাড়াতে নিয়োজিত অনেক সিপাহী হরভজন সিংকে স্বপ্নে দেখা শুরু করেন, যেখানে তিনি তাদেরকে সীমান্তের নানা ফাঁক ফোকর সম্বন্ধে অবহিত করতেন। এমন অরক্ষিত জায়গার কথা বলতেন যেখান থেকে চীনা সেনাবাহিনী আক্রমণ করতে পারে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে তার দেয়া এসব সতর্কবাণী পরবর্তীতে সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়। তার এসব কীর্তির কথা ছড়িয়ে পরতে লাগল এবং দ্রুতই হরভজন সিং একজন মরহুম সিপাহী থেকে বনে গেলেন আধ্যাত্মিক বাবা হরভজন সিং। তার সমাধিতে মানুষের ভিড় বাড়তে লাগল।
আশেপাশের মানুষজন তাদের নানান সমস্যা নিয়ে তার সমাধিতে আসা শুরু করল এই বিশ্বাসে যে বাবা হরভজন সিং তাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিবেন। তার সমাধিতে মোট তিনটি কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে তার থাকার জন্য এক আলাদা ঘর আছে। সেখানে তার ব্যবহার্য জিনিসগুলো যেমন, বিছানা, জুতা, স্লিপার, পানির বোতল, ইউনিফর্ম, ছাতা সবকিছু রাখা আছে। এসব জিনিস সমাধির রক্ষকরা প্রতিদিন গুছিয়ে রাখে। তার দাবি করেন যে প্রতি সকালে কক্ষে রাখা জুতা কর্দমাক্ত হয়ে যায়। আগে থেকে গোছানো বিছানা এলোমেলো হয়ে যায়। তাদের দাবি যে এসবকিছুই হচ্ছে বাবা হরভজন সিং-এর উপস্থিতির প্রমাণ।
বাবা হরভজন সিং-এর এসব কীর্তির কথা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেল। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাই হরভজন সিংকে মৃত্যুর পরেও একজন কর্মরত সিপাহির পদে বহাল রাখল। তার মাসিক বেতন তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হত। তাকে পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন র্যাংকে উন্নীত করা হয়। শুধু তাই না, ক্যাপ্টেন হরভজন সিংকে বাকি সৈন্যদের মত প্রতি বছরে ২ মাসের ছুটি দেয়া হত। প্রতিবছরের ১৪ সেপ্টেম্বরে তার ছুটি শুরু হত। তার সব ব্যক্তিগত মালামাল বাক্সে ভরা হত। তারপর ২ জন সিপাহীকে তার সঙ্গী হিসেবে পাঠিয়ে ট্রেনে করে তাকে তার পরিবারের আবাসস্থলে পৌছে দেয়া হত। ছুটি শেষ হলে একইভাবে ২জন সৈন্য তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসত। তার রিটায়ার হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই তাকে ছুটির সময় আনা নেয়া করা হত। বরফ আচ্ছন্ন, দুর্গম এই পাহাড়ে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ আসে বাবা হরভজন সিং-এর সমাধি দেখবার জন্য।
দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই তাদের সাথে নিয়ে আসে পানিভর্তি বোতল। সেই বোতলকে তারা সমাধিতে কিছুসময়ের জন্য রেখে আবার নিয়ে যান। অনেকের ধারণা সমাধির পাশে রাখা সেই পানিতে চিকিৎসা হতে পারে নানান দুরারোগ্য রোগের। সমাধির দেখভালে নিয়োজিত সিপাহীরা দর্শনার্থীদের খাবার আপ্যায়ন করে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয়রাই যে বাবা হরভজনকে বিশ্বাস করে এমনটা না। নাথুলা সীমান্তে যখনই ভারত ও চীনের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তখন চীনারা বাবা হরভজনের বসবার জন্য আলাদা একটি চেয়ারের ব্যবস্থা করে! অবসর নিয়ে নিলেও এখনো হরভজন সিং আগের মতই নাথুলা সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন বলে বিশ্বাস করে তার ভক্তরা। তার সমাধিতে এখনো দেখা যায় অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড়।
বাবা হরভজন সিং-এর কাহিনিতে কতটা সত্যতা আছে তা বলতে পারা আসলেই কঠিন। অনেক মানুষ আছে যারা এক সিপাহির মৃত্যুর পরে তার বাবা সেজে আবারো সীমান্ত রক্ষা করার কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। আবার অনেকেই বাবা হরভজন সিং-এর ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে তার কাছে নিজের মনের ইচ্ছা পুরণের আশায় পারি দেন দুর্গম পাহাড়ি পথ। সত্য যাই হোক না কেন, মৃত্যুর পরেও এক সৈন্যের নিজের দেশের সীমান্ত রক্ষা করে যাওয়ার ঘটনা পুরো বিশ্বেই অভিনব।
সিপাহির ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি তার এই স্বপ্নকে নিজের বেদনাহত মনের কল্পনা বলে মনে করেন। কিন্তু একই ইউনিটের আরেক সিপাহী যখন একই স্বপ্ন দেখলেন তখন সবার সন্দেহ হল। দুই ব্যক্তির একই স্বপ্ন দেখা কাকতালীয় ঘটনা নাও হতে পারে। তাদের দুইজনের স্বপ্নে যে জায়গাটির কথা বলা হয়েছিল সেখানে একটি সার্চ পার্টি পাঠানো হল এবং সে জায়গাতেই হরভজন সিং-এর মৃতদেহ পাওয়া গেল। স্বপ্নে দেয়া নির্দেশ অনুসারে সেখানেই তার সমাধি স্থাপন করা হল। কিন্তু কাহিনির সমাপ্তি এখানেই হল না।
এই ঘটনার পর থেকেই ভারত ও চীন উভয় সীমান্ত থেকেই সৈন্যরা একজন ইউনিফর্ম পরিহিত সিপাহীকে ঘোড়ায় বসে একা সীমান্ত পাহাড়া দিতে দেখতে পায় বলে জানায়। সীমান্ত পাহাড়াতে নিয়োজিত অনেক সিপাহী হরভজন সিংকে স্বপ্নে দেখা শুরু করেন, যেখানে তিনি তাদেরকে সীমান্তের নানা ফাঁক ফোকর সম্বন্ধে অবহিত করতেন। এমন অরক্ষিত জায়গার কথা বলতেন যেখান থেকে চীনা সেনাবাহিনী আক্রমণ করতে পারে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে তার দেয়া এসব সতর্কবাণী পরবর্তীতে সঠিক বলেই প্রমাণিত হয়। তার এসব কীর্তির কথা ছড়িয়ে পরতে লাগল এবং দ্রুতই হরভজন সিং একজন মরহুম সিপাহী থেকে বনে গেলেন আধ্যাত্মিক বাবা হরভজন সিং। তার সমাধিতে মানুষের ভিড় বাড়তে লাগল।
আশেপাশের মানুষজন তাদের নানান সমস্যা নিয়ে তার সমাধিতে আসা শুরু করল এই বিশ্বাসে যে বাবা হরভজন সিং তাদের সব সমস্যার সমাধান করে দিবেন। তার সমাধিতে মোট তিনটি কক্ষ রয়েছে। যার মধ্যে তার থাকার জন্য এক আলাদা ঘর আছে। সেখানে তার ব্যবহার্য জিনিসগুলো যেমন, বিছানা, জুতা, স্লিপার, পানির বোতল, ইউনিফর্ম, ছাতা সবকিছু রাখা আছে। এসব জিনিস সমাধির রক্ষকরা প্রতিদিন গুছিয়ে রাখে। তার দাবি করেন যে প্রতি সকালে কক্ষে রাখা জুতা কর্দমাক্ত হয়ে যায়। আগে থেকে গোছানো বিছানা এলোমেলো হয়ে যায়। তাদের দাবি যে এসবকিছুই হচ্ছে বাবা হরভজন সিং-এর উপস্থিতির প্রমাণ।
বাবা হরভজন সিং-এর এসব কীর্তির কথা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেল। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাই হরভজন সিংকে মৃত্যুর পরেও একজন কর্মরত সিপাহির পদে বহাল রাখল। তার মাসিক বেতন তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হত। তাকে পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন র্যাংকে উন্নীত করা হয়। শুধু তাই না, ক্যাপ্টেন হরভজন সিংকে বাকি সৈন্যদের মত প্রতি বছরে ২ মাসের ছুটি দেয়া হত। প্রতিবছরের ১৪ সেপ্টেম্বরে তার ছুটি শুরু হত। তার সব ব্যক্তিগত মালামাল বাক্সে ভরা হত। তারপর ২ জন সিপাহীকে তার সঙ্গী হিসেবে পাঠিয়ে ট্রেনে করে তাকে তার পরিবারের আবাসস্থলে পৌছে দেয়া হত। ছুটি শেষ হলে একইভাবে ২জন সৈন্য তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসত। তার রিটায়ার হওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই তাকে ছুটির সময় আনা নেয়া করা হত। বরফ আচ্ছন্ন, দুর্গম এই পাহাড়ে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ আসে বাবা হরভজন সিং-এর সমাধি দেখবার জন্য।
দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই তাদের সাথে নিয়ে আসে পানিভর্তি বোতল। সেই বোতলকে তারা সমাধিতে কিছুসময়ের জন্য রেখে আবার নিয়ে যান। অনেকের ধারণা সমাধির পাশে রাখা সেই পানিতে চিকিৎসা হতে পারে নানান দুরারোগ্য রোগের। সমাধির দেখভালে নিয়োজিত সিপাহীরা দর্শনার্থীদের খাবার আপ্যায়ন করে থাকে। শুধুমাত্র ভারতীয়রাই যে বাবা হরভজনকে বিশ্বাস করে এমনটা না। নাথুলা সীমান্তে যখনই ভারত ও চীনের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তখন চীনারা বাবা হরভজনের বসবার জন্য আলাদা একটি চেয়ারের ব্যবস্থা করে! অবসর নিয়ে নিলেও এখনো হরভজন সিং আগের মতই নাথুলা সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছেন বলে বিশ্বাস করে তার ভক্তরা। তার সমাধিতে এখনো দেখা যায় অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড়।
বাবা হরভজন সিং-এর কাহিনিতে কতটা সত্যতা আছে তা বলতে পারা আসলেই কঠিন। অনেক মানুষ আছে যারা এক সিপাহির মৃত্যুর পরে তার বাবা সেজে আবারো সীমান্ত রক্ষা করার কথা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। আবার অনেকেই বাবা হরভজন সিং-এর ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে তার কাছে নিজের মনের ইচ্ছা পুরণের আশায় পারি দেন দুর্গম পাহাড়ি পথ। সত্য যাই হোক না কেন, মৃত্যুর পরেও এক সৈন্যের নিজের দেশের সীমান্ত রক্ষা করে যাওয়ার ঘটনা পুরো বিশ্বেই অভিনব।
Post a Comment