করোনা ভাইরাস এবং সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে তফাত অনেক, জেনে নিন বিস্তারিত


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা ভাইরাস এবং সাধারণ ফ্লুয়ের মধ্যে একাধিক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ফ্লুয়ের লক্ষণ এবং করোনাভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে বেশ কিছু মিল দেখলে তা কিন্তু এড়িয়ে চলবেন না। কারণ করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে মিল থাকলেও রেছে কিন্তু একাধিক অমিলও রয়েছে। যেমন-

১) নোভেল করোনা ভাইরাস বা COVID-19-এর কারণে হয় করোনা। আর ফ্লু-এর উৎপত্তি হতে পারে বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ড্রপলেট বাতাসে মিশে যায় এবং সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেও এটি বাতাসে জীবিত থাকতে পারে এবং এইভাবে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। 

২) ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন বাজারে উপলব্ধ। ভয়ঙ্কর মাত্রায় ফ্লু হলে টিকাকরণের মাধ্যমে এর নিরাময় সম্ভব। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কার করা হয়নি। এরজন্য চিকিৎসকরা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

৩) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র তরফে জানানো হয়েছে করোনাভাইরাস ফ্লু-এর থেকে ধীর গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটিই সম্ভবত দুটির রোগের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য। পাশাপাশি ফ্লুয়ের লক্ষণ খুব তাড়াতাড়ি প্রকট হয়, অন্যদিকে করোনার লক্ষণ প্রকট হতে বেশি সময় লাগে। 
৪) ফ্লুয়ের একের পর এক কেসে সিরিয়াল ইন্টার্ভাল করোনা ভাইরাসের থেকে কম। করোনাভাইরাসের সিরিয়াল ইন্টারভাল ৫-৬দিন হয়ে থাকে, যেখানে ফ্লুয়ের সিরিয়াল ইন্টারভাল হয় ৩দিন। অর্থাৎ ফ্লু বেশি তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। 

৫) করোনায় আক্রান্ত রোগী ২দিন পর থেকেই এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে। অন্যদিকে ফ্লু-এর ভাইরাস রোগীর শরীর থেকে ২দিন থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে ছড়াতে শুরু করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার পর ২০ দিন পর্যন্ত ভাইরাস পরিবেশে ছড়াতে পারে। 

৬) করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যক্তির শরীরে দুই বা ততোধিক রোগ বাসা বাধার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে ফ্লু-এর ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

৭) ফ্লু মূলত শিশুদের দ্বারা অধিক সংক্রামিত হয়, অন্যদিকে করোনাভাইরাস প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের দ্বারাই বেশি ছড়িয়ে পড়ে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.