একাকীত্ব ও বিষণ্নতার জের, মারা গেল অসমের সোনালী লঙ্গুর প্রজাতীর শেষ সদস্যটি
Odd বাংলা ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক লক্ষ-কোটি প্রাণী। তার জেরে বিলুপ্ত হয়েছে একাধিক প্রাণীর প্রজাতি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি দ্রুত শিল্পায়ন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মতো আন্তর্জাতিক সমস্যা যখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, তখন পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র এবং তার ভারসাম্য ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার ফলে কিছু কিছু বিপন্ন প্রাণীর প্রজাতি বিলুপ্তির পথে পা বাড়িয়েছে। ক্রমাগত, বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে জঙ্গলের পরিসর কমে এসেছে। যার ফলে অসমের উমানন্দ দ্বীপের বিখ্যাত গোল্ডেন লঙ্গুরের প্রজাতির শেষ সদস্যটি হত ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা গিয়েছে। যার ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল এই প্রজাতিটি।
লঙ্গুরটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নিজের প্রজাতির আর কোনও প্রাণী বেঁচে না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে একাই ছিল সে। আর সেই নিঃসঙ্গতা এবং হতাশার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
The last surviving golden langur of Umananda island of Assam, died.— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) February 26, 2020
Golden langurs are critically-endangered species which is endemic to Bhutan and some parts of western Assam. One of the most endangered primate species of India, more closer to extinction. PC Internet. pic.twitter.com/LnR5I4Juds
সোনালী লঙ্গুর প্রজাতির শেষ প্রাণীটির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এনেছেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মকর্তা প্রবীণ কাসওয়ান। প্রসঙ্গত সোনালী লঙ্গুর একটি অত্যন্ত বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। সরকার তাদের সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও কয়েক বছর ধরে তাদের সংখ্যা দ্রুত হারে হ্রাস পেয়েছে।
দেশের মধ্যে সর্বাধিক সোনালী লঙ্গুরদের বাসস্থান ছিল অসমের উমানন্দ দ্বীপ। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে ওই দ্বীপে বাস করছিল। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে, এই সংখ্যাটি একটিতে নেমে এসেছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা শূন্য। অসম রাজ্য চিড়িয়াখানায় সোনালী লঙ্গুরের ক্রমহ্রাসমানতা বহুদিন থেকেই একটি গুরুতর সমস্যা ছিল। খাদ্যের অপ্রতুলতা এবং বাসযোগ্য নিরাপদ পরিবেশের অভাব এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণের সংঘাত, চোরাশিকারের মতো ঘটনা সামগ্রিকভাবে বন্যপ্রাণীদের বেঁচে থাকার পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Post a Comment