দিল্লি থেকে গাঁয়ে ফিরেছে শ্রমিক বুধিয়া, কিন্তু খাবে কী?
Odd বাংলা ডেস্ক: দিল্লি লাগোয়া নতুন নয়ডাকে তৈরি হতে দেখেছে বুধিয়া। মাথায় সিমেন্ট নিয়ে বাঁশের মই দিয়ে তিনতলাতে উঠে একবার করে চারিদিকটা দেখত সে। মনে মনে ভাবতো এই নয়ডাকে একটা সময় গ্রাম দেখেছে সে। প্রত্যেকটি বিল্ডিংই তো বুধিয়ারা তৈরি করেছে। কিন্তু তৈরি্ হওয়ার পরেই বুধিয়াদের সেই বিল্ডিং থেকে চলে যেতে হয়। তারপর যখন রাস্তা দিয়ে বুধিয়া হাঁটে তখন নিজের আরেক বান্ধবীকে বলে, জানিস এই বিল্ডিংটাতেও আমি কাজ করেছি। আজ সে সবই ইতিহাস। বুধিয়াকে চলে আসতে হয়েছে তার গ্রামে। কারণ দিল্লি জুড়ে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
বুধিয়ার বাড়ি মালদা জেলার মানিকচক থানার কামালপুর এলাকায়। খুব কম বয়সেই ওর বাবা মারা যায়। আর তাই তাঁকে চলে যেতে দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর হেল্পার হিসাবে কাজ করতে। আর কীবা করতে পারে সে। পড়াশোনা তো সে জানে না। দিল্লিতে অনেক কাজ। করতে পারলেই হচ্ছে। কিন্তু এখন বুধিয়ার আয় শূণ্য। কাল কী খাবে জানে না সে।
শুধু যে বুধিয়া তা নয়। গ্রামের বাকি যাঁরা দিল্লিতে গিয়েছিল কাজ করতে তাদের পাঠানো টাকাতেই তো চলতো তাদের সংসার। আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে তাদের। থাকার বাসস্থান ছাড়া তেমন আর জমিজমাও নেই। তাহলে কী করবে বুধিয়ারা? গ্রামের লোকেরা ভরসা দিচ্ছে। বলছে আমরা তো আছি। কিন্তু নিত্য ভিক্ষা দেয় কে? ২ টাকা কেজির চালটা রাজ্য সরকার ফ্রি করেছে ঠিকই। কিন্তু তাতে কি আর জীবন চলে? কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে অসংগঠিত শ্রমিকদের দেওয়া টাকা। কিন্তু তাদের বুধিয়াদের তো ভীন রাজ্যে কাজ। সেখানে কি আদৌ তাদের নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কোনও কাগজ বা প্রমাণপত্র তো আর তাদের কাছে নেই। তাহলে ?
Post a Comment