দাউদ ইব্রাহিম: পুলিশ কনস্টেবলের পুত্র থেকে দুর্ধর্ষ মাফিয়া ডন হয়ে ওঠার গল্প


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতের বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) নগরীর ডুংরি এলাকায় সেলুনের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন হাসান কসকর। সেলুনের সামান্য আয় দিয়েই সংসার চালাতেন, পুত্র ইব্রাহিম কসকর কে লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন। লেখাপড়া শেষে ইব্রাহিম কসকর যোগ দেয় পুলিশের কনস্টেবল পদে। পরে সততা ও নিষ্ঠার জন্য হেড কনস্টেবল পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। ইব্রাহিম কসকর এর ছিল ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ে। ১৯৫৫ সালে ইব্রাহিম কসকর এর ঘরে জন্ম নেয় তার ২য় পুত্র। পুত্রের নাম রাখেন দাউদ ইব্রাহীম কসকর। বলাবাহুল্য ধর্মভীড়ু পিতা সেদিন কল্পনাও করতে পারেন নি ইসলামের এক নবীর নামে নাম রাখা এই সন্তান একদিন অপরাধ জগতের অধিপতি হবে, নাম থাকবে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীর তালিকায়! কিন্তু কালের পরিক্রমায় সাধারণ নাপিত দাদার নাতি ও সৎ পুলিশ কনস্টেবল এর ছেলেই হয়ে ওঠে মাফিয়া জগতের ডন, আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতের দুর্ধর্ষ গডফাদার! 

অপরাধ জগতে প্রবেশঃ বৃটিশ আমলে মুসলিমরা লেখাপড়া শিখতে অনাগ্রহ দেখানোয় চাকুরীতে তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বোম্বের মুসলিমদের বেলায়ও তাই ছিল। তাদের বেশিরভাগ ছোট খাটো ব্যবসা করলেও কয়েকজন শুরু করে মাদক ও চোরাচালান এর কাজ। অতি স্বল্প সংখ্যক মুসলিম ছোট চাকুরীর সুযোগ পেয়েছিল। ইব্রাহীম কসকর ছিলেন এই ছোট তালিকারই একজন। কিন্তু সততার কারনে পুলিশে থেকেও তার তেমন উন্নতি হয় নি। পুত্র দাউদ শিশুকাল থেকেই পরিবারের দারিদ্রতা দেখে পিতার উপরে ছিল চরম বিরক্ত। যেখানে চোরাচালান, মাদক ব্যবসা করে অনেকে কত স্বচ্ছল জীবনযাপন করছে সেখানে পিতা পুলিশে চাকরী করেও চরম অভাবে দিন কাটাচ্ছে। এর মাঝে হুট করে একদিন অফিসে এক ঝামেলায় ইব্রাহিম কসকরের চাকুরী চলে যায়। রেলস্টেশনে ছিনতাই এর মাধ্যমে অপরাধের হাতেখড়ি হয় দাউদের! জানতে পেরে ইব্রাহিম কসকর পুত্র দাউদকে বেদম প্রহার করে। কিন্তু মারের ফলে যেন আরো বিগড়ে গেল সে। হাজী মাস্তান বড় ভাই সাবির ইব্রাহিম কে নিয়ে ছোটখাটো ছিনতাই ও চুরি অব্যহত থাকলো দাউদের।পড়ালেখাতে অমনযোগী দাউদ এর লেখাপড়া ৭ম শ্রেণিতেই থেমে যায়। এলাকায় সাহসী, বেপরোয়া অপরাধী হিসেবে নাম রটে গেল দাউদের। ভাই এর সুত্রে বোম্বের প্রথম মাফিয়া ডন হাজী মাস্তান (মুল নামঃ আকিব হুসেন) এর গ্যাং এর সাথে যোগাযোগ শুরু হয় দাউদের। তাদের হয়ে ছোটখাটো কাজ করে দিতে থাকে সে। বেপরোয়া সাহসে ক্রমেই আস্থা অর্জন করতে থাকে হাজী মাস্তানের। বোম্বের অপরাধ জগতে দুই ভাই এর সাফল্য ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। নাম ডাক ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তারা নিজেরাই একটা গ্যাং তৈরি করে। যেটি পরবর্তীতে D-Company (Dawood Company) হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু আমরা জানি দুনিয়ায় অনেক অপরাধীর জীবন শেষ হয়েছে নারী কে কেন্দ্র করে। দাউদের ভাই সাবিরকেও জীবন দিতে হয় নারীকে কেন্দ্র করেই। বোম্বের এক পতিতাকে ভালো লেগে যায় সাবির ইব্রাহীমের। কিন্তু সেই পতিতাকে আবার পছন্দ করতো আফগানি পাঠানদের গ্যাং এর এক নেতা আমিরজাদা। আগে থেকেই বোম্বের অন্যান্য মুসলিম গ্যাং এর সাথে বড় শত্রুতা ছিল আফগানি পাঠান গ্যাং এর। আমিরজাদা সে পতিতাকে শুধু তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলো। দ্বন্দের জেরে আমিরজাদা খুন করে সাবিরকে। গ্রেফতার হয় আমিরজাদা। কিন্তু ভাই এর হত্যার বদলা নিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে দাউদ, যে কোন মূল্যে আমিরজাদাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। পেইড কিলার ও চোরাচালানকারী বড় রাজনের (রাজন মহাদেব নায়ের) সাথে যোগাযোগ করলে বড় রাজন ডেভিড পরদেশি নামে একজন খুনিকে দিয়ে আমিরজাদাকে আদালতে হাজিরের দিন হত্যা করার প্লান করে।পরদেশি আদালত প্রাঙ্গনে আমিরজাদাকে গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু পুলিশ আটক করে ফেলে পরদেশি কে। পরে বড় রাজন ও দাউদ ইব্রাহিমও গ্রেফতার হয়। হাজী মাস্তান এর প্রভাব ও অর্থের বিনিময়ে জামিন পায় দাউদ। আমিরজাদা হত্যার ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাঠানরা। দাউদ কে পাওয়া সহজ ছিল না কিন্তু বড় রাজন তখনো হাজতে। আমিরজাদাকে আদালত প্রাঙ্গনে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল একইভাবে আদালতে হাজিরার দিন বড় রাজনকে হত্যা করার প্লান করা হয়। আব্দুল কুঞ্জু নামে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আদালত প্রাঙ্গনে আমিরজাদাকে হত্যার পর পুলিশ সতর্ক হয়ে গেছে, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে আব্দুল কুঞ্জুকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছদ্মবেশ ধারন করে। বড় রাজনকে আদালতে হাজির করার দিনে পুলিশের কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে হত্যা করে কুঞ্জু। পুলিশের হাতে আটক হয় কুঞ্জু। এবার বড় রাজন হত্যার ফলে পাঠানদের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয় বড় রাজনের গ্যাং। বড় রাজন খুন হওয়ার পর গ্যাং এর লিডার হয় ছোট রাজন (রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজি)।  নেতা হয়েই আব্দুল কুঞ্জুকে হত্যা করে গুরু বড় রাজন হত্যার শপথ নেয় ছোট রাজন। কিন্তু কুঞ্জু তখন পুলিশের কাছে আটক। দুইটি খুনের পর থানা এবং আদালত প্রাঙ্গনেও পুলিশের কড়া পাহারা। তাই আদালত এলাকায় হত্যা করার কোন পথ পাচ্ছিল না ছোট রাজন। কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়লে কুঞ্জুকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এটা জানতে পেরে ছোট রাজন গুরুতর আহত হওয়ার অভিনয় করে হাতে পায়ে ব্যন্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে আসে। সুযোগ বুঝে কুঞ্জুর বিছানার কাছে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে সে। এরপর ছোট রাজনকে দলে নিতে উদ্যোগী হয় দাউদ। দুজন সমঝোতায় এসে একসাথে আরো শক্তিশালী গ্যাং হয়ে উঠলো ডি-কোম্পানি। দুজন মিলে পাঠানদের আরো নেতাকে হত্যা করে ও বাকিদের মুম্বাই থেকে বিতাড়িত করে। কেউ কেউ আবার দাউদের দলে যোগ দেয়। এদিকে দাউদের গুরু হাজী মাস্তান রাজনীতিতে যোগ দিলে গ্যাং এর দায়িত্ব পুরোপুরি চলে আসে দাউদের হাতে। মুম্বাই এর আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতে প্রতিষ্ঠা হয়  দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানির একচ্ছ্বত্র আধিপত্য।

দাউদ ইব্রাহিম ও চিত্রনায়িকা মান্দাকিনি



দুবাই পালিয়ে যাওয়াঃ একেরপর এক হত্যা ও ডি-কোম্পানির নানা অপরাধকর্মে বোম্বে পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হয়। শুরু হয় ধরপাকড়। ডি-কোম্পানির অনেক সদস্য আটকা পড়ে পুলিশের জালে। দাউদ পালিয়ে গেল মাফিয়া ডনদের নিরাপদ স্বর্গরাজ্য দুবাইতে। ছোট রাজন এর মাধ্যমে দুবাইতে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছিল সবকিছু। গ্রেফতার এড়াতে ১৯৮৯ সালে ছোট রাজনও পারি দেয় দুবাইতে। উঠে আসে ছোট শাকিল নামে একজন। ছোট শাকিল হয়ে ওঠেন দাউদের ডান হাত। এদিকে ১৯৯১ সালে দাউদের প্রতিদ্বন্দী অরুন গাউলির গ্যাং এর হাতে খুন হয় দাউদের বোন হাসিনা পারকারের স্বামী। স্বামীর খুনের পর হাসিনা পারকার নিজেই প্রবেশ করে অপরাধজগতে! হাসিনা ও  ছোট শাকিল মিলে পরিচালনা করতে থাকে ডি-কোম্পানির সাম্রাজ্য ও দাউদের ব্যবসা। দাউদ ভারতের বাইরেও বিস্তৃত করতে থাকে তার ব্যবসা। দুবাই, পাকিস্তান সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সে বিনিয়োগ করে। এমনকি বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও বাড়তে থাকে তার বিনিয়োগ। হিন্দি সিনেমার নামকরা অনেক পরিচালক, নায়ক নায়িকার সাথে রয়েছে তার গোপন যোগাযোগ।  সঞ্জয় দত্ত, সালমান খান , অনিল কাপুর এর মত তারকার সাথে ছিল দাউদের যোগাযোগ। ১৯৯৪ সালে জনপ্রিয় ও সমালোচিত নায়িকা মান্দাকিনি ও দাউদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল। তাদের একসাথে দুবাইতে দেখা গেছে। দাউদ ইব্রাহিম ও চিত্রনায়িকা মান্দাকিনি সালমান খানের সাথে দাউদ অনিল কাপুরের পাশে দাউদ এদিকে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বোম্বেতে উগ্র সংগঠন শিবসেনার প্ররোচনায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলে ৬ শত মুসলিম ও ৩ শত হিন্দু নিহত হয়। ধ্বংস করা হয় মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় সুযোগে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দাউদ ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করে। হামলার প্রতিশোধ নিতে বোম্বেতে বোমা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। হামলায় দাউদ ইব্রাহিম এর ডি-কোম্পানি যাবতীয় সহায়তা করার আশ্বাস দেয় বিনিময়ে আইএসআই দাউদ ইব্রাহিমের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে সম্মত হয়। ১৯৯৩ সালে বোম্বে শহরে ১৩ টি সিরিজ বোমা হামলায় আড়াইশত মানুষ নিহত ও ৭ শত আহত হয়। দাউদ ইব্রাহিম হয়ে যায় ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী।  দাউদকে দেশে আনতে আরব আমিরাতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয় ভারত। কিন্তু দাউদ দুবাই থেকে পালিয়ে যায় পাকিস্তানে। কিন্তু দাউদের ডি-কোম্পানির কয়েকশত সদস্য পুলিশের হাতে আটক হয়। যার অধিকাংশকে পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করে, বাকিরা আছে জেলে। এদিকে বোম্বে হামলার পর ছোট রাজনের সাথে দাউদ ইব্রাহিমের দ্বন্দ শুরু হয়। দুজন পৃথক হয়ে যায়। এরপর মুম্বাই নগরী প্রত্যক্ষ করেছে দাউদ ও রাজন এর গ্যাং এর  অসংখ্য বন্দুক যুদ্ধ। বেশ কয়েকবার ছোট শাকিল ও দাউদ ইব্রাহিম চেষ্টা চালিয়েছে ছোট রাজন কে হত্যা করার কিন্তু সফল হয়নি। ২০১৫ সালে ছোট রাজন ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ থেকে গ্রেফতার হয়। এখন তার বিচার চলছে। এখনো জেলের মধ্যে তাকে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দাউদ ইব্রাহিম। এরপর মুলত গোলাগুলি, প্রকাশ্য হত্যা এসব কিছুটা কমিয়ে দাউদ গ্যাং মনযোগ দেয় নানা বৈধ, অবৈধ ব্যবসায়। পাকিস্তানে রিয়েল স্টেট সেক্টরে আছে তার বিশাল বিনিয়োগ। মুম্বাই হামলায় সহায়তা ও পাকিস্তানে বিশাল বিনিয়োগ থাকায় এটা ওপেন সিক্রেট যে দাউদকে আইএসআই নিরাপত্তা দেয়। যদিও পাকিস্তান সেটা অস্বীকার করে। সিনেমায় ছোট শাকিল ও দাউদ ইব্রাহিমের আছে অনেক বিনিয়োগ। বিনিয়োগ আছে এয়ার লাইন্সে। দাউদ একসময় নজর দেয় ক্রিকেটে। ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন খেলোয়াড়কে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি ডলার। কলুষিত করেছে ক্রিকেট কে। ধ্বংস করেছে কত ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার! কোন এক খেলার মাঠে গ্যালারিতে দাউদ ইব্রাহিম ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, ইন্টারপোল কেউই এত বছর চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি এই আন্ডারওয়ার্ল্ড বাদশাহকে। কতবার যে কত মিশন পরিচালনা করেছে তারা কিন্তু একবারও সফলতা পায়নি তারা। এমনকি দাউদ নাকি অনেকবার ভারতেও এসেছে গোপনে অথচ তা জানতেও পারেনি ভারতীয় গোয়েন্দারা। ২০০৬ সালে দাউদের মেয়ে মাহরুখ ইব্রাহিমের সাথে বিয়ে হয় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের ছেলে জুনায়েদ মিঁয়াদাদের। মেয়ের বিয়েতে অবশ্যই হাজির হবে দাউদ ফলে অনুষ্ঠানে র, ইন্টারপোল, এফবিআই সবার ছিল তীক্ষ্ণ নজরদারী। দুবাই এ অনুষ্ঠান স্থল ও আশেপাশে ছিল এইসব গোয়েন্দা সংস্থার অসংখ্য এজেন্ট। আইএসআই থেকে দাউদ কে নিষেধও করা হয়েছিল যেন বিয়ের অনুষ্ঠানে না যায়। কিন্ত দাউদ ঠিকই এসেছিল। মেয়ে ও মেয়ের জামাই এর সাথে দেখা করে গেছে অথচ এত এত এজেন্ট কেউ বুঝতেও পারেনি। ৬১ বছর বয়সী দাউদ এখন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন কিছুটা। বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করা টাকা থেকে যে আয় হয় তাতেই বিলাসী জীবন চলে যায় তার। কলম্বিয়ার ড্রাগ মাফিয়া পাবলো এস্কোবার এর পর দাউদ হচ্ছে পৃথিবীর ২য় ধনী মাফিয়া ডন।  ৭ বিলিয়ন রুপির মালিক দাউদের অর্থের সাথে লেগে আছে কত মানুষের রক্তের দাগ, কত মাদকের দুর্গন্ধ! অথচ কোন দেশের পুলিশ আজ পর্যন্ত তাকে জেলে ঢুকাতে পারে নি। কখনো পারবে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে। দাউদ ইব্রাহিম কে নিয়ে নির্মিত হয়েছে কত সিনেমা। ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই সিনেমায় অজয় দেবগান (সুলতান মির্জা) এর চরিত্র হাজী মাস্তানের ছায়া অবলম্বনে এবং ইমরান হাশমি (শোয়েব খান) এর চরিত্র দাউদ ইব্রাহিম এর ছায়া অবলম্বনে চরিত্রায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে'(২০০৪), ‘ডি'(২০০৫), ‘শুটআউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা'(২০০৭), ‘শুটআউট অ্যাট ওয়াদালা'(২০১৩) সিনেমাগুলো দাউদ ইব্রাহিম ও তার ডি-কোম্পানিকে অবলম্বন করেই নির্মিত। ২০১৭ সালে দাউদ ইব্রাহিমের বোন হাসিনা পারকারকে নিয়েও নির্মিত হয়েছে একটি সিনেমা (হাসিনা পারকার)।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.