আবহাওয়ার পরিবর্তন নেই, নেই বিপদ সংকেত, তবুও হারিয়ে গিয়েছে যেসব বিমান, যার রহস্য আজও অধরা


Odd বাংলা ডেস্ক: আবহাওয়ার পরিবর্তন নেই, কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই, তবুও সকলকে অবাক করে দিয়েই একপ্রকার গায়েব হয়ে গিয়েছিল যেসব বিমান। 

১) প্যান আম ফ্লাইট ৭ (১৯৫৭)- ১৯৫৭ সালের ৮ নভেম্বর প্যান আম ফ্লাইট ৭ সান ফ্রান্সিসকো থেকে হাওয়াই ফেরার পথে প্যাসিফিক সাগরের ওপর হারিয়ে যায়। বোয়িং ৩৩৭ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে এক সপ্তাহ পর। এই দুর্ঘটনায় ৪৪ জন মারা যান। কিন্তু এই বিমান দুর্ঘটনার রহস্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিমানটি থেকেও কোনো বিপদবার্তা পাঠানো হয়নি। এমনকি এই বিমানে মৃত যাত্রীদের শরীরে পাওয়া অতিরিক্ত কার্বন মনো-অক্সাইড রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছিল।

২) ফ্লাইং টাইগার ফ্লাইট ৭৩৯ (১৯৬২)- ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মার্কিন বিমান ফ্লাইং টাইগার ফ্লাইট ৭৩৯। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ভিয়েতনামের সাইগনে ১০৭ জন সেনা ও রসদ নিয়ে যাচ্ছিল এটি। গুয়ামে এটি জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামার পর এর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। এই বিমানটির হারিয়ে যাওয়ার রহস্যের আজও কোনও কিনারা করতে পারেননি গবেষকেরা। 


৩) ইউএসএয়ার ফ্লাইট ৪২৭ (১৯৯৪)- শিকাগো থেকে পিটসবার্গে যাওয়ার পথে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএসএয়ার ফ্লাইট ৪২৭। ১৯৯৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অবতরণ করার মাত্র আট মিনিট আগে ৩০০ মাইল গতিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি। বোয়িং৭৩৭-৩বি৭ বিমানটির আকস্মিক এই দুর্ঘটনার তদন্ত চলে চার বছর। তদন্তে দাবি করা হয়, রাডারে ত্রুটি ছিল। ঠিকমতো সংকেত না পাওয়ায় পাইলট দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল।

৪) টিডব্লিউএ ফ্লাইট৮০০ (১৯৯৬)- ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের তীরবর্তী অঞ্চলে মধ্য-আকাশে বিস্ফোরিত হয় টিডব্লিউএ ফ্লাইট৮০০। এই বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও রহস্যের শেষ নেই। ধারণা করা হয়, ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে প্যারিসগামী এই বিমানটিতে মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। আবার অনেকেই ধারণা করেন, বিমানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। কেউ কেউ মনে করেন, উল্কার আঘাতে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিমান দুর্ঘটনার পর তদন্ত চলে প্রায় চার বছর। তদন্তে দাবি করা হয়, আকাশে ওড়ার ১২ মিনিটের মাথায় ত্রুটিপূর্ণ তারের কারণে বিমানটিতে আগুন লাগে এবং বিমানের ফুয়েল ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়।

৫) এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭ (২০০৯)- ২০০৯ সালে রিও ডি জেনেরিও থেকে ফ্রান্সে ফেরার পথে এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পরে জানা যায় এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এই বিমান দুর্ঘটনার কথা কয়েক মাস ধরেই রহস্যঘেরা ছিল। ওই সময় ১ জুন দুর্ঘটনার দিন থেকে পরের দুই সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষ ও ২২৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তিন বছর ধরে এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলে এবং ২০১২ সালের জুলাই মাসে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, কারিগরি ত্রুটি, অদক্ষ চালক ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দ্রুত বিমানটি সাগরে পড়ে যায়। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.