করোনাভাইরাসের মারণ থাবায় ভারতে ৫টি সমস্যা বিশাল আকার ধারণ করেছে


Odd বাংলা ডেস্ক: ভারতে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব থানিকটা হলেও অপ্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বলা চলে করোনাভাইরাস একপ্রকার থাবা বসিয়েই ফেলেছে ভারতের বুকে। তবে ভারতে করোনাহানায় একাধিক সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে, জেনে নিন সেগুলি কী কী- 

১) ওষুধের দোকানে ফুরিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার- ভারতে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করার আগে থেকেই বাজারে ওষুধের দোকানে হাত ধোয়ার স্যানিটাইজারের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। আর বর্তমানে ওষুধের দোকানের তাক কার্যত খালি হয়ে গিয়েছে, মিলছে না একটিও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন-এর তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, দিনের বিভিন্ন সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে বলে। এর কারণেই এর চাহিদা যেমন বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারেনি যোগান। আর সেই কারণেই স্যানিটাইজারের দেখা মিলছে না বাজারে। 

২) মাস্কের অপ্রতুলতা-  বাইরে বেরোলে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে ফেস মাস্ক-এর ব্যবহারও বেড়েছে লাফিয়ে। তেমন বাড়তে থাকা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়েনি যোগান। যার ফলে বাজারে দেখা নেই মাস্কেরও। সেইসঙ্গে যাও বা মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে খুবই চড়া দামে।

৩) ওষুধ রফতানি বন্ধ ভারতের- ওষুধ শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভিটামিন ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য এক বিরাট উপকরণ চিনের কাছ থেকে আমদানি করে ভারত। করোনাভাইরাসের কারণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে চিন। আর সেই জন্যই ভারত অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভিটামিন ওষুধ রফতানি করতে পারছে না। 

৪) ভারতে টেলিকম এবং মোবাইল ফোন সেক্টরে নির্মাতারা বিঘ্নের মুখে- ভারতের টেলিকম এবং মোবাইল ফোন সেক্টরগুলি চিনের ইনপুটের ওপর নির্ভরশীল। ঘাটতির কারণে বিকল্প পথের সন্ধান করতে হচ্ছে। 

৫) এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো সাংহাই এবং হংকং-এর বিমান উড়ান স্থগিত রেখেছে- আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়ার পর থেকেই ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো চিনের উড়ান ভারতে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার ফলে অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি একপ্রকার ক্ষতির মুখেই পড়েছে বলা চলে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.