সিনেমায় চান্স পাওয়ার জন্য পরিচালকের সাথে বেড শেয়ার, যে অভিনেত্রীদের ইতিহাস


Odd বাংলা ডেস্ক: বিতর্কমূলক কাস্টিং কাউচের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অনেকদিন ধরেই লোকে বিভিন্ন সংবাদে তা দেখে এসেছেন বা শুনে এসেছেন। সিনেমায় নামতে গেলেই নাকি ওইসব করতে হয়। আমরা জানি আপনারা বেশ ভালোভাবেই বুঝে গেছেন যে আমরা ঠিক কিসের কথা বলছি। কিন্ত একটা কথা আপনারা জানেন না যে সকলেই এভাবে চান্স পাননি, কোন কোন ক্ষেত্রে তারা কড়া প্রতিবাদও করেছেন। অনেকেই মনে করেন বড় প্রযোজক, পরিচালক ও সিনেমা স্টারদের সাথে যোগাযোগ না রাখলে তাদের আর সিনেমা জগতে প্রবেশপত্র মেলে না। আসুন দেখি সত্যিটা ঠিক কি ও কিভাবে ঘটেছে ঘটনাগুলি।



মমতা কুলকার্নি – রাজকুমার সন্তোষী নাকি সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন তার যৌবনের। অন্তত মমতা কুলকার্নি এইরকমই বলেন। যদিও তিনি সে প্রস্তাব নাকচ করে দেন। রাজি না হওয়াতে চায়না গেট সিনেমা থেকে তার চরিত্রটি বাদ দেন পরিচালক।



কঙ্গনা রানাওয়াত – কুইন সিনেমার পরিচালক তার কাছ থেকে পেতে চেয়েছিলেন সুবিধা। তবে কুইন সিনেমাটি করলেও তেমন কোন কিছু হয়নি তার এবং পরিচালকের মধ্যে সেটা স্পষ্ট জানিয়েছেন কঙ্গনা। এমনকি পরে কখনো তিনি এরকম কিছুতে আপোষ করবেন না সেটাও জানিয়েছেন।

সমীরা রেড্ডি – তিনি বলেছিলেন কাস্টিং কাউচ বলিউডের ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে, করেও। কোন না কোন সময়ে বলিউডের প্রতিটি অভিনেত্রী এর শিকার হয়েছেন। কেউ নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছেন, কেউ সরাসরি বেড়িয়ে এসেছেন।

কল্কি কোচলিন – কাজ পাওয়ার বিনিময়ে দিতে হবে শারীরিক সুখ, এই প্রস্তাব এসেছিল কল্কির কাছেও। ভাগ্যক্রমে তিনি সেই জাতীয় সমস্ত প্রোজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

টিসকা চোপড়া – বলিউডে যে আছে কাস্টিং কাউচ শিকার হওয়ায় অনেকদিন নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শারীরিক সুখ না দেবার ফলে তাকে অনেক সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

রাখি সাওয়ান্ত – যদিও তিনি মিডিয়ার আলো নিজের দিকে টানার জন্য একটু বেশী বাজে বকেন, তবু তিনিও বলেছেন কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন তিনি। অবশ্য তিনি তেমন বড় কোন সিনেমায় না থাকার জন্য তার কথা সেভাবে কেউ বিশ্বাস করেনি।

সুরভিন চাওলা – এখানে নয় তবে দক্ষিনের অনেক সিনেমায় নাকি কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবুও থামেন নি। কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে নিয়ে এসেছেন এতদুর।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.