অন্ধ স্ত্রীর মুখে এক টুকরো হাসি দেখতে কয়েক হাজার ফুলের গাছ লাগিয়েছেন এই বৃদ্ধ


Odd বাংলা ডেস্ক: নিজের মনের মানুষকে হাসখুশি দেখতে আপনি কী কী করে থাকেন? হয়তো নিজের স্ত্রীকে ডিনারে নিয়ে যান, বা হয়তো তাঁর পছন্দের কোনও জিনিস তাকে উপহার দেন। কিন্তু এই মানুষটি তাঁর স্ত্রীর মুখে হাসি দেখবেন বলে যা করেছেন, তা আপনার মনে বিস্ময় জাগাবে।

জাপানি দম্পতি মিস্টার এবং মিসেস কুরোকির বিয়ে হয় ১৯৫৬ সালে। এরপর দীর্ঘ ৩০ বছর তাঁরা একসঙ্গে নিজেদের ডেয়ারি ফার্মে কাজ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন। কঠোর খাটনির পেছনে একটাই কারণ ছিল, যাতে তাঁরা একসঙ্গে অবসর যাপন করতে পারে। কিন্তু তাঁদের সব স্বপ্ন এক পলকে ভেঙে গিয়েছিল তখনই যখন মিসেস কুরোকি ডায়াবেটিসের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এই ঘটনার পরে কাজকর্ম তো ছেড়েই দিলেন, সেইসঙ্গে নিজেকে একেবারে চারদেওয়ালে বন্দি করে ফেললেন। স্ত্রীয়ের এমন অসহায় বন্দিদশা চোখে দেখতে পারেননি মিস্টার কুরোকি। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীয়ের মুখের হাসি পুনরায় ফুটিয়ে তোলার। 

একদিন পথে আচমকাই গোলাপি শিবাজাকুরা ফুলে হোঁচট খান মিস্টার কুরোকি। তথন তিনি অনুভব করেন, ফুলের সৌন্দর্য কেবল দেখার চোখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ফুলের সুগন্ধের মধ্যে দিয়েও কিন্তু তার সৌন্দর্য অনুভব করা যায়। আর সেই কারণে নিজের স্ত্রীয়ের জন্য ফুলের বাগান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দীর্ঘ ২ বছর ধরে স্ত্রীয়ের জন্য তৈরি করেছেন সুন্দর ফুলের বাগান। যেখানে রয়েছে প্রায় ১০০০-এরও বেশি গাছ রয়েছে। বর্তমানে শিনটমি শহরে অবস্থিত এই বাগানটি এখন পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বহু মানুষ ভিড় জমান এই বাগান দেখতে। আগত পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন মিসেস কুরোকি, এই জীবনে এইটুকুই তো চেয়েছিলেন মিস্টার কুরোকি। তাঁদের প্রেমের গল্প একদিকে যেমন অভিনব তেমন অনুপ্রেরণাদায়কও। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.