কাগজে এই মন্ত্রটি লিখে ঠাকুর ঘরে এক মাস রেখে দিন, আর দেখুন


Odd বাংলা ডেস্ক: পারিবারিক জীবনে ঝামেলা অশান্তি লেগেই আছে। আগের থেকে এখনকার মানুষের জীবনে অশান্তির শেষ নেই। আজ যদি কোন কারণে ঝামেলা হয়ে তা ঠিক হয়ে যায়, তাহলে কাল আবার ঝামেলার নতুন কারণের সৃষ্টি হয়ে যায়। বর্তমান যুগে প্রায় সকলেই এই সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু এরকম অশান্তির জীবন কেউ চায়না। সবাই চায় সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে। আমাদের পরিবারের মধ্যে আমরা নিজেরাই কোন না কোন ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করি। অশান্তির কারণ আমরা নিজেরাই। আমাদের গাফিলতির কারনেই আমাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। আর একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকি প্রতিনিয়ত। প্রতিদিনের এই কলহের মাঝে কারোরই মন মেজাজ ঠিক থাকেনা। কাজের ক্ষেত্রেও ক্ষতি হয়, আর যদি কেউ পড়াশুনা করে তাহলে তার পড়াশুনাতেও মন বসেনা। তারপর আমরা নিজেদের ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকি। 

দিন শেষে আমরা ভাবি হয়তো আমাদের ভাগ্য খারাপ তাই আমাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটছে। তখন আমরা নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে ছুটি কোন জ্যোতিষের কাছে। তার নির্দেশ অনুসারে তাবিজ, কবজ, পাথর ইত্যাদি ধারন করি। বেশিরভাগ জ্যোতিষী ভণ্ড হওয়ার কারণে আমাদের টাকা-সময় সব কিছুই বিফলে যায়। আবার অনেক দরিদ্র পরিবারে জ্যোতিষের কাছে দেখানর মতো টাকাও থাকেনা। মহামূল্যবান তাবিজ, কবজ, রত্ন ক্রয় করার সামর্থ থাকেনা। তাহলে তাদের ক্ষেত্রে ভাগ্য ফেরানোর উপায় কি? এমন একটি উপায় আছে যা অনুসরন করলে ভাগ্য ফিরবেই। যে কোন শ্রেণীর মানুষ এই কাজটি করতে পারে। এই কাজটি খুবই সাধারণ একটি কাজ কিন্তু সবার অজানা। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়টি কি যা আমাদের সকলের সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। সেটি আর কিছুই নয়, তা হল গায়ত্রী মন্ত্র। প্রায় সকলেই গায়ত্রী মন্ত্র জানেন। কারুরই অজানা নয় এই মন্ত্র। তবে এই মন্ত্র পাঠের থেকে বেশি ফল পাওয়া যাবে সেটি লিখে ঠাকুর ঘরে রেখে দিলে। এর কিছু নিয়ম আছে। প্রথমে শুদ্ধ বস্ত্রে একটি পরিষ্কার সাদা কাগজে গায়ত্রী মন্ত্রটি লিখে কাগজটির ওপর গাঁদা ফুল ছিটিয়ে ফুল সমেত কাগজটি মুড়ে ফেলতে হবে। তারপর তা ঠাকুর ঘরে মা দূর্গার মুর্তির সামনে রেখে দিতে হবে। ঠাকুর ঘরে সাধারণত দূর্গা মুর্তি থাকেনা। সেই ক্ষেত্রে দূর্গার ছবির সামনে কাগজটি রেখে দিতে পারেন। তবে এই কাগজটি অপরিষ্কার পোশাকে না ছোঁয়াই ভালো আর সে কাগজটির মোড়া একদমই খুলবেন না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.