ডাইনোসর নিয়ে সবচেয়ে রহস্যময় ৫টি অজানা তথ্য !


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রথম ডাইনোসর ব্রন্টোসোরাস, টাইরানোসোরাস, ভেলোসিরেপ্টর এরকম বেশকিছু ডাইনোসরের নাম আমরা শুনেছি। কিন্তু সৃষ্টির প্রথম ডাইনোসর কোনটা তা কি আমরা জানি? কয়েক বছর আগেও মানুষ এই প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনো উত্তর খুঁজে পায়নি। কিছু দিন আগে নিয়াসসরাস নামে একটি ক্ষুদ্রাকৃতির ডাইনোসরের ফসিলের সন্ধান পান গবেষকরা। আকারে কুকুরের সমান এই ডাইনোসরদের প্রধান খাবার ছিলো উদ্ভিদ, পোকামাকড় আর ছোটো ছোটো প্রাণী। তবে একেই বিশ্বের প্রথম ডাইনোসর ভাবার সুযোগ নেই। এটা এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো ডাইনোসর।

সবচেয়ে বড় ডাইনোসর

বিগত বছরগুলোতে খুঁজে পাওয়া ডাইনোসরের ফসিল থেকে আমরা জানতে পেরেছি কোন ডাইনোসরগুলো আকারে বিশালাকৃতির ছিলো। কিছু কিছু ডাইনোসর সম্পর্কে জানা যায় যাদের দৈর্ঘ্য ১১০ ফুট বা তার বেশি ছিলো। কিন্তু সব ডাইনোসরের ফসিল নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় কোন ডাইনোসর সবচেয়ে বড় ছিলো তা নির্ণয় একটি দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও ধারণা করা হতো, সিসমোসোরাসরাই ছিলো সবচেয়ে বড় ডাইনোসর। কিন্তু পরে আর্জেন্টিনোসোরাসের ফসিল আবিষ্কারের পর দেখা যায় তা সিসমোসোরাসের চেয়েও আকারে বড়, অন্তত ১৫০ ফুট লম্বা। যে কারণে সব ডাইনোসরের ফসিল খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এটা নিশ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই কোন ডাইনোসর আকারে সবচেয়ে বড় ছিলো।

রাত না দিন?

ডাইনোসরদের নিয়ে এখনো একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি আর তা হলো এরা শিকার করতো কখন। দিনে না রাতে? অনেকে মনে করেন, এরা রাতের বেলা অন্ধকারের সাহায্য নিয়ে শিকারে বেরোতো। চোখের ভেতরের স্ক্লেরা রিং নামে একটি হাড়ের উল্লেখ করে গবেষকরা জানিয়েছেন কিছু কিছু ডাইনোসরের রাতে দেখার ক্ষমতা বেশ ভালো ছিলো। কিন্তু অনেকে বিজ্ঞানীই এই ধারনা ঠিক বলে মনে করেন না। যে কারণে এটি এখনো একটি রহস্য হয়ে রয়েছে।

গায়ের রং

ছবি বা মুভিতে ডাইনোসরের বিভিন্ন রকম গায়ের রং দেখতে পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে ডাইনোসরের গায়ের রং কেমন ছিলো তা নিয়ে পাওয়া যায় মিশ্র উত্তর। একদল বলছেন ডাইনোসরদের গায়ের রং ছিলো চাপা ধূসর বর্ণের। অনেকটা আজকের দিনের হাতি বা জলহস্তির গায়ের রংয়ের মতো। আরেক দলের মতে, ডাইনোসরদের গায়ের রং ছিলো বিচিত্র এবং উজ্জ্বল। প্রজননের জন্য সঙ্গীকে খুঁজতে বা অন্য প্রজাতির ডাইনোসর থেকে আলাদা করে চেনার জন্য ডাইনোসরদের গায়ের রংও বৈচিত্রময় হতো।

বিলুপ্তি

অনেক বছর আগে ধারনা করা হতো, বিবর্তণের কিছু ত্রুটির কারণে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো। অনেকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধীরে ধীরে ডাইনোসররা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর আসে অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুর যুক্তি। বলা হয় একটি বিশালাকার গ্রহাণু আঘাত করেছিলো পৃথিবীর বুকে আর এর প্রভাবে রাতারিতি বদলে যেতে থাকে পৃথিবীর জলবায়ু। আর এতেই বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকে ডাইনোসররা। বলতে গেলে ডাইনোসরের বিলুপ্তির পেছনে এই যুক্তিই বেশি গ্রহণযোগ্য, তবে অনেকেই আছেন যারা মনে করেন, ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পেছনে রয়েছে সম্পূর্ণ অন্য কারণ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.