জাপানি তেলের ব্যাপারে এই তথ্যগুলি অনেকেরই অজানা


Odd বাংলা ডেস্ক: সকাল সকাল চায়ের কাপ হাতে সবে খবরের কাগজে চোখ বোলানো শুরু করেছেন, এমন সময় নির্ঘাৎ আপনার চোখে পড়বে ‘জাপানি তেল’-এর বিজ্ঞাপন। বা সন্ধ্যেবেলা টিভিতে একটু নিউজ চ্যানেলগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখবেন, সেখানেও আপনার চোখে পড়বে ‘জাপানি তেল’-এর বিজ্ঞাপন। ‘জাপানি তেল’! নামটির মধ্যেই কেমন একটা গা ছমছমে ব্যাপার রয়েছে। জিনিসটির বিজ্ঞাপন অনেক দেখেছেন। দেখে রোমাঞ্চ-কৌতুক-আমোদও বোধ করেছেন যথেষ্ট। কিন্তু জিনিসটা আসলে যে কী, তা নিয়ে কৌতূহল জিনিসটি ব্যবহার না করলে বোধ করি মেটার নয়। আর তা ব্যবহারের পরেও তো কত প্রশ্ন থেকে যায় উত্তরহীন। আপাতত জাপানি তেল সম্পর্কে ৮টি তথ্য দেওয়া রইল, যা আপনাদের কৌতূহল নিরসনে কিঞ্চিৎ সহায়ক হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক তথ্য গুলি-

১. জাপানি তেলের সঙ্গে জাপানের আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। এটা তৈরি হয় ভারতেই। এর ফর্মুলাটি জাপান থেকে আহৃত কি না সে সম্পর্কেও স্পষ্ট কিছু জানা যায় না।

২. জাপানি তেল পুরুষদের ব্যবহার্য। তবে কেন এর ব্যবহার শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই কিছু। এই তেলের সুফল বা কুফল থেকে মহিলাদের বঞ্চিত করার মধ্যে লিঙ্গবৈষম্যঘটিত ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেতে পারেন অনেকে।

৩. সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই তেল মেখে কাজের কাজ কি হয় কিছু? এ প্রশ্নের উত্তরে একটি তথ্য দিয়ে রাখা যাক, ২০১১ সালে পুণের ফুড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জাপানি তেলের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অভিযোগ ছিল, এই তেল তাদের বিজ্ঞাপনে অসত্য দাবি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

৪. যদি কেউ মনে করেন, এই তেল মাখলে আপনার ‘ইয়ে’টির দৈর্ঘ্য সাঁই সাঁই করে বাড়তে থাকবে, তাহলে জেনে রাখুন, জাপানি কেন, চাইনিজ তেলও আপনার অঙ্গটির আকৃতি ওভাবে বাড়াতে পারে না। তার কারণ পুরুষাঙ্গের আকৃতি নির্ধারিত হয় মানুষের জিনের গঠনের দ্বারা। কোনও ধরনের মালিশেই পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব নয়।

৫. এই তেল মাখলে কি সেক্স পারফরমেন্স বৃদ্ধি পায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে উঠে আসে আর একটি প্রশ্ন— সেক্স পারফরমেন্স ‘বৃদ্ধি’ পাওয়া বলতে ঠিক কী বোঝায়? আরও বেশি আনন্দ? আরও বেশিক্ষণ আনন্দ? ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন তো, বাইরে থেকে কোনও তেল মেখে সেই আনন্দ কি বাড়ানো সম্ভব? সম্ভব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি নয় কি?

৬. জেনে রাখুন, পুরুষত্বহীনতার অনেক কারণ থাকতে পারে। স্নায়বিক, মানসিক বা হরমোনঘটিত— নানা কারণে মানুষ পুরুষত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। এইসব কারণের কোনওটিই তেল মালিশে নির্মূল হবার নয়।

৭. জাপানি তেল-এর বিজ্ঞাপনে যে বলা হয়, এটা ‘সৌখিন’ লোকেদের ব্যবহার্য্য, এই ‘সৌখিন’ লোকের সংজ্ঞা কী? কাকে বলে সৌখিন লোক? ‘অসৌখিন’ লোকেরা এটা মাখলে কি পৃথক ফল হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর নেই কোনও।

৮. জাপানি তেল ব্যবহারের নেপথ্যে হীনম্যতা, শর্টকাটে কেল্লাফতে করবার বাসনা, গোপন কথাটিকে গোপনে রেখে দেওয়ার ইচ্ছা— সবকিছু ক্রিয়াশীল রয়েছে। যে মানুষ নিজেকে নিয়ে অতৃপ্তিতে ভোগেন না তিনি কখনও জাপানি তেল ব্যবহারের কথা ভাববেন কি? সম্ভবত ভাববেন না।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.