বাসি মিষ্টির কারবার বন্ধ করতে নয়া উদ্যোগ, এবার মিষ্টির গায়েও থাকবে 'এক্সপায়ারি ডেট'


Odd বাংলা ডেস্ক: যেকোনও প্যাকেটজাত খাবার বা ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা এক্সপায়ারি ডেট দেখে খাবার বা ওষুধ কেনার অভ্যেস বহু মানুষের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু মিষ্টি কেনার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে নেন সকলে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন দোকান থেকে যে মিষ্টি আপনি কিনছেন তা সত্যিই টাটকা না বাসি। কেবল মুখের কথায় মিষ্টি কিনে নেন অনেকে। 

তবে এবার মিষ্টির ক্ষেত্রেও এর মেয়াদকাল সম্পর্কিত দিন (এক্সপায়ারিল ডেট) জানিয়ে দেওয়া বাধ্যতামুলক করল কেন্দ্রীয় সরকারষ ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (অ্যাক্ট, ২০০৬) অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে এই নিয়ম লাগু হবে বলে জনা গিয়েছে। প্রসঙ্গ বাসি মিষ্টি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার একাধিক অভিযোগ পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। 

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেবলমাত্রা প্যাকেটজাত মিষ্টির ক্ষেত্রেই নয় খুচরো মিষ্টি কেনার ক্ষেত্রেও এই মেয়াদকাল জানানো বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। এর ফলে ট্রেতে সাজিয়ে যেসব মিষ্টি বিক্রি করা হয়, সেইসব ট্রের ওপরেও মিষ্টির মেয়াদকাল লিখে রাখতে হবে যে তা তা কতদিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযুক্ত হবে। জনস্বার্থে এই নিয়ম সকলকে মেনে চলতে হবে বলেও জানানো হচ্ছে। 

তবে কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকার জেরে বিপাকেই পড়েছেন রাজ্যের বহু মিষ্টি বিক্রেতা। তাঁদের বহুজনের বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গে মূলত ছানার মিষ্টি তৈরি করা হয়৷ আর এই ধরনের মিষ্টির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলা খানিকটা মুশকিল আর এখানে সেইরকম পরিকাঠামোও নেই৷ এর ফলে রাজ্যের মাঝারি এবং ছোট মিষ্টি বিক্রেতারা ঘোরতর সমস্যায় পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.