রাত পোহালেই জনতা কারফিউ, মোদী মাত্র একটা দিন কেন করছেন এই কাজ?


Odd বাংলা ডেস্ক: রবিবার ১৪ ঘণ্টার ‘জনতা কার্ফু’ করে সত্যিই কি খুব লাভ হবে? যদি সকলকে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকার আহ্বান জানানোই উদ্দেশ্য হয়, তা হলে ওই দিনই বিকেল পাঁচটায় বাড়ির দরজা-বারান্দা-ব্যালকনিতে পাঁচ মিনিটের জন্য এসে হাততালি দিতে কিংবা ঢোল-ঘণ্টা বাজাতে বলার অর্থ কী? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা জরুরি পরিষেবা দিয়ে চলেছেন, তাঁদের ঋণ স্বীকার অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু ওই ভাবে তা করতে গিয়ে বরং জমায়েতের আশঙ্কা বাড়বে না কি? রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা সুখেন্দুশেখর রায়ের কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা নাটুকে। তিনি চাইছেন রবিবার যেন সমস্ত নাগরিক হাততালি দেয়, গান গায়, ঢোল বাজায়। ইটালীয়দের অনুকরণ। কী নিষ্ঠুর রসিকতা!’’ 

অনেকে মনে করছেন, রবিবারের এই ১৪ ঘণ্টার কসরৎ আসলে নেহাতই মহড়া। হাঁড়ির চাল টিপে ভাতের হাল বোঝার চেষ্টা। সম্ভবত বুঝে নেওয়ার চেষ্টা যে, পরিস্থিতি বিগড়োলে কতটা সম্ভব হবে ওই ‘জনতা কার্ফুর’ মেয়াদ বাড়ানো। কে বলতে পারে যে, তখন এই তালি-ঢোলের আওয়াজকেই কার্ফুর প্রতি আমজনতার পূর্ণ সমর্থন বলে প্রচার করবেন না প্রধানমন্ত্রী? 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.