সামাজিক রীতির নামে দিনের পর দিন ১০-১২ বছরের মেয়েদের ধর্ষণ


Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সমাজের একটি অন্ধকার দিক ধর্ষণ। খবরের কাগজ খুললে বা টিভিতে খবরের চ্যানেলে প্রায় প্রতিদিন একটি করে ধ’র্ষনের খবর আমরা পাই। কিছু অমানুষ তাদের শরীরের পিপাসা মেটানোর জন্য ৮মাসের শিশু কন্যা থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধা কাউকেই ছাড়েনা। সবাই তাদের যৌন লালসার স্বীকার হয়। আর এখন ভারতবর্ষে ধর্ষন তো অন্যান্য অনেক দেশের থেকেও বেশি আকার নিয়েছে।

যদিও বিশ্বের অনেক দেশেই এরকম ঘটনা ঘটে। এখন মেয়েরা একটু রাত হলেই ঘরের বাইরে বেরতে ভয় পায়। বাবা মাও নিজের মেয়েদের বাড়ির বাইরে একা বেরতে দিতে চায় না। কিন্তু পৃথিবীর এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মাত্র ১০ বছরের মেয়েদের তার বাড়ির বড়রা অর্থাৎ তার বাবা মায়েরা নিজেরাই পাঠিয়ে দেয় ধর্ষনের জন্য।

হয়তো আপনি অবাক হচ্ছেন কিন্তু এটাই সত্যি। ঠিক এমন কাজই হয় পৃথিবীর একটি প্রান্তে। এখন তো বাবা নিজেই নিজের মেয়েকে ধ’র্ষন করে। এই ব্যাপারটা একটু আলাদা। এই ঘটনা ঘটে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউই এর দক্ষিণে এক গ্রামে। ওই গ্রামে এই জঘন্য কাজটি রীতি নামে পরিচিত।

ওই গ্রামে “হায়েনা” নামে এক ব্যাক্তি আছে যে আসলে এক ধ’র্ষক। তার আসল নাম হল এরিক অ্যানিভা। তাকে ওই গ্রামের লোকেরা সেখানে “যৌ-ন শোধক” হিসাবে রেখেছেন। একে তার কাজের জন্য পারিশ্রমক পর্যন্ত দেওয়া হয়।

সেখানের রীতি হল মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হওয়ার পর তাকে পাঠাতে হবে হায়েনার কাছে। সে যে নারীত্বে প্রবেশ করেছে তার প্রমান দেওয়ার জন্য যেতে হয় হায়েনার কাছে। এটাই সেই জায়গার রীতি। শুধু তাই নয়, কোন মেয়ের স্বামী মারা গেলে তার দাহ করার আগে সেই মেয়েকে যেতে হয় হায়েনার কাছে। নিজের যৌন শুদ্ধিকরণের জন্য।

আবার কোন মেয়ের গর্ভপাত হলেও তাকে পাঠানো হয় হায়েনার কাছে। গ্রামের কোন মানুষ এটাকে ধর্ষন বলে মনেই করেনা। এই প্রসঙ্গে সেখানকার মেয়েদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায় যে তাদের কিছুই করার নেই। তার নিজের মা বাবাই তাদের পাঠায় এই কাজে।

তাদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তাদের বাধ্য হয়ে যেতে হয় সেখানে। নাহলে তাদের ভয় দেখানো হয় যে তাদের মা বাবা অসুস্থ হয়ে পরবে নাহলে তারা মারা যাবে। এই ভয়ে তারা বাধ্য হয় হায়েনার কাছে যেতে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.