কোন ব্লাড গ্রুপে কোন রোগের ঝুঁকি বেশি


Odd বাংলা ডেস্ক: রক্তের গ্রুপ পজিটিভ না নেগেটিভ সেই নিয়েই এত দিন বেশি মাথা ঘামাতো মানুষ। বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ ম্যাচিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারণ এর সঠিক ম্যাচিংয়ের ওপরই নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের সুস্থতা।এছাড়া যদি হয় ‘ও’ নেগেটিভ। তাহলে তো বড় অসুখ সহজেই হামলা করে বসতে পারে। তাই ‌’ও’ নেগেটিভ গ্রুপের মানুষকে আগে থেকেই অতিরিক্ত সচেতন থাকতে হয়। তবে শুধু নেগেটিভ বা পজেটিভ নয়, ‘এ’, ‘বি’, ‘ও’ এবং ‘এবি’ গ্রুপের ওপরও নির্ভর করে নানা রোগের ধরণ ও প্রবণতা।

১.স্মৃতির দুর্বলতা:-“এবি “গ্রুপের রক্তধারীদের শেষ বয়সে গিয়ে স্মৃতির দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। জার্নাল নিউরোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা মতে, যাদের রক্তের গ্রুপ “এবি ” তারা জ্ঞানীয় দক্ষতার পারফর্মেন্স টেস্টে কম স্কোর পেয়েছেন। এবি গ্রুপের রক্তের জমাট বাধা এবং রক্তের প্রোটিনজনিত কিছু সমস্যার কারণে স্মৃতির এই সমস্যা হয় বলে জানা গেছে। এর পূর্ণ কোনো ব্যাখ্যা এখনো জানা যায়নি।
2.মানসিক চাপ:-“এ”গ্রুপের রক্তধারীরা মানসিক চাপ সহজে মোকাবিলা করতে পারেন না। কেননা “এ” গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ হয় বেশি। আর ও গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে কর্টিসোল নিঃসরণ হয় কম। কিন্তু মানসিক চাপের সময় তাদের দেহে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণ ঘটে। যে কারণে তারা তাদের সিস্টেমে থাকা কোনো কর্টিসোল পরিষ্কার করতে পারেন না। ফলে তারাও মাননিসক চাপ মোকাবিলা করতে পারে না সহজে। এজন্য এই ধরনের মানসিক অবসাদের রোগীদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মনোচিকিৎসা দিতে হয়।
৩. আলসার:-যাদের রক্তের গ্রুপ “ও” তাদের অন্য আর যে কারুর চেয়ে আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
“ও” গ্রুপের রক্তধারীদের পাকস্থলীর আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৪. রক্ত জমাট বাধা-“এ” ও “বি” গ্রুপের রক্তের অধিকারীদের ৩০% ঝুঁকি থাকে এই সমস্যা হওয়ার। আর যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কম। আর এবি গ্রুপের রক্ত আছে যাদের তাদের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি ২০%। এ থেকে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

৫. হৃদরোগ:-যাদের রক্তের গ্রুপ “এবি” বা “বি ” তাদের হার্টের রোগ বা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে প্রবল। আর যাদের ও গ্রুপের রক্ত তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
৬. অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার:-“ও” গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু এ গ্রুপের রক্তধারীদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৩২% আর এবি গ্রুপের রক্তধারীদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫১%।
৭.গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার:-“ও” গ্রুপের রক্তধারী লোকদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম। কিন্তু অন্যান্য রক্তের গ্রুপধারীদের এবং বিশেষ করে এ গ্রুপের রক্তধারীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক বেশি।
৮. “বি” গ্রুপের রক্তধারীদের দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পূর্ণ:-আপনার রক্তের গ্রুপ যদি হয় বি তাহলে আপনি ভাগ্যবান। কারণ আপনার দেহ অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ। তবে ভয়ের কিছু নেই। এগুলো সব উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী রাখতে এবং বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াদের দূরে রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
“বি” গ্রুপের রক্তধারীদের দেহে ও বা এ গ্রুপের রক্তধারীদের চেয়ে ৫০ হাজার গুন বেশি ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। তার মানে “বি” গ্রুপের রক্তধারীদের হজমশক্তি বেশি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি শক্তিশালী থাকে। আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিবেদনটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।এই ধরণের আরও খবরা খবর পেতে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং অপেক্ষা করুন পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোর জন্য।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.