লকডাউনের কারণে বিশ্ব জুড়ে কনডম সংকটের আশঙ্কা!



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বে কনডম সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কনডম উৎপাদনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ কনডম উৎপাদন করে মালয়েশিয়ার ক্যারেক্স বিএইচডি। লকডাউনের কারণে প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়ার তিনটি কারখানায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কোনো কনডম উৎপাদন করেনি। এর ফলে ইতোমধ্যে বিশ্বে এক কোটি পিস কনডমের উৎপাদন কম হয়েছে। কনডমের আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ডিউরেক্স তাদের পণ্য ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কিংবা জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের দাতব্য প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজারজাত করে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের উৎপাদন শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

তবে বিশেষ ছাড়ের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৫০ শতাংশ শ্রমিক উৎপাদনে নিয়োজিত করতে পারবে। ক্যারেক্সের প্রধান নির্বাহী গোহ মিয়াহ কিয়াত বলেন, ‘কারখানাগুলোর পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে এবং আমরা অর্ধেক সামর্থ্য দিয়ে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সব জায়গায় কনডমের বৈশ্বিক সংকট দেখতে পাব, যেটি ভীতি উদ্রেককারী হতে যাচ্ছে। আমার উদ্বেগ বিপুল সংখ্যক মানবিক প্রকল্প নিয়ে...আফ্রিকায় এই ঘাটতি কেবল কয়েক সপ্তাহ বা এক মাসের জন্য নয়। এই ঘাটতি থাকবে কয়েক মাস।’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মালয়েশিয়ায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত দুই হাজার ১৬১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৬ জন। দেশটিতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কনডম উৎপাদনকারী দেশ চীন। করোনাভাইরাসের কারণে এই দেশটির কনডম উৎপাদন কারখানাগুলোও বন্ধ রয়েছে। গোহ বলেন, ‘ভালো বিষয় হচ্ছে, কনডমের চাহিদা এখনও অনেক বেশি। কারণ পছন্দ করুক আর না-ই করুক এটা এখনও প্রয়োজনীয়। এর ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, মানুষ সম্ভবত এখন সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে না। এতো অনিশ্চয়তা মধ্যে এখন এর সময় নয়।’
Blogger দ্বারা পরিচালিত.