মৃত্যুর আগে যমরাজ আমাদের ৪টি চিঠি বা সংকেত দেন, জেনে রাখুন


Odd বাংলা ডেস্ক: কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ সব বিধাতার হাতে। আগে থেকে কেউ কিছু বলতে পারেনা। অনেকের অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সহজে মৃত্যু হয়না, আবার বহু বছর সম্পর্ক থাকার পরেও বিয়ে হয় না। সব কিছুই সম্পূর্ণ বিধাতার হাতে। মৃত্যু কারোর হাতে নেই, একটি সুস্থ ব্যাক্তিও হঠাৎ মারা যেতে পারে। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্র আরো একটা কথা বলে।

সেখানে বলা হয় যে মৃত্যুর আগে যমরাজ জানান দেয়। আর তা একবার নয়, চারবার। হিন্দু শাস্ত্রে মৃত্যুর দেবতা হল যমরাজ। তাকে দক্ষিণ ভারতে লোকপালও বলা হয়। সাধারণত যমরাজ চারবার কোন মানুষকে মৃত্যুর সংকেত দিয়ে থাকে।

পুরাণ মতে লোকপালের প্রথম মৃত্যু হয়। আর তার পর থেকেই মহাদেব তাকে মৃত্যুর দেবতা করে দেয়। শাস্ত্রে বলা হয় যে মৃত্যুর আগে যমদূতেরা পৃথিবীকে বিদায় জানানোর আগে আত্মাকে নিতে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর বিচার করা হয় তার সারাজীবনের কর্মফল। কর্মফল অনুযায়ী যমরাজ বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয় সে স্বর্গে যাবে না নরকে যাবে।

যমুনা তীরে বসবাস করতেন অমৃত নামে এক ব্যাক্তি। তিনি ছিলেন আস্তিক মানুষ। আর তিনি মৃত্যুকে খুব ভয় পেতেন। তাই তিনি যাতে অমর হতে পারেন তার জন্য তিনি যমরাজের কঠোর তপস্যা করেন।

তার তপস্যায় তুষ্ট হয়ে যমরাজ তাকে বর দান করেন যে, তার মৃত্যু হবেই কিন্তু মৃত্যুর আগে যমরাজ তাকে চারটি চিঠি দিয়ে ইঙ্গিত দেবেন যে তার মৃত্যু আসন্ন। মৃত্যুর পর তিনি যমরাজের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন যে “আপনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে আমাকে চিঠি পাঠাবেন, কিন্তু আপনি তা করেন নি। আপনি নিজের কথা রাখেন নি।”

যমরাজ তার কথা শুনে হেসে বলেন যে “তুমি ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হয়ে পড়ছিলে, অকেজো হয়ে পড়ছিলে, সেটাই ছিল আমার বার্তা। এই বার্তার সাহায্যেই আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম যে তোমার মৃত্যু আসন্ন। তুমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও।”

যমরাজ এই বার্তা সকলকেই দেন, কিন্তু কারোর চোখে পরেনা। আমাদের উচিত নিজেদের মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত হয়ে পার্থিব সব মায়া ত্যাগ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা। হিন্দু শাস্ত্র মতে বয়সের বৃদ্ধিই মৃত্যুর পূর্বাভাস।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.