ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে চলতেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ



Odd বাংলা ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে চলতো মাজেদ। এমনকি খেতে দিতে সামান্য দেরি হলে রেগে আগুন হয়ে যেতো বলে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের স্ত্রী সেলিনা ওরফে জরিনা বেগম। ভারতের কলকাতায় দীর্ঘ দিন আলী আহমেদ পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন খুনি মাজেদ। সেখানে তিনি বয়সে ৩২ বছরের ছোট স্থানীয় এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। সেই স্ত্রীর ঘরে তাঁর ছয় বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানও আছে। সুদের কারবার ও টিউশনি করিয়ে চলতো মাজেদের সংসার। ১১ এপ্রিল শনিবার রাতে ঢাকায় খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। আর তারপরই উঠে এসেছে মাজেদের কলকাতার জীবনের অজানা এ কাহিনী। কলকাতায় থাকা অবস্থায় প্রতিদিন দুটি নম্বর থেকে নিয়মিত ফোন করে বাংলাদেশে কথা বলতেন খুনি আবদুল মাজেদ। সম্ভবত বাংলাদেশে নিয়মিত ফোন করতে গিয়েই ধরা পড়েছেন মাজেদ। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, বাংলাদেশে থাকা মাজেদের পরিবারের সদস্যদের ফোনে নিয়মিত আড়ি পাততো গোয়েন্দারা। ফলে মাজেদ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, সেই তথ্য সহজেই জেনে যায় তারা। এরপরই তাকে গ্রেফতারের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়। বর্তমান পত্রিকায় বলা হয়ছে, কলকাতা শহরে মাজেদের অবস্থান জানতে খুব সম্ভবত ভারতের কোনও গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। যদিও এ নিয়ে দুই দেশের কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তদন্তে জানা গেছে, কলকাতায় মাজেদ যে দুটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো, তার একটিও নিজের নামে ছিল না, স্ত্রীর নামে ছিল। এমনিতে সুদের কারবার ও টিউশনির টাকায় সংসার চললেও সম্প্রতি তালতলা এলাকায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন মাজেদ। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে টাকা আসত মাজেদের কাছে। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটে আর পা দেওয়া হল না তাঁর। তার আগেই ফাঁসিকাঠে নিথর হলেন তিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.