করোনার কোপে চিনে বন্ধ ৫ লক্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান! অর্থনীতির সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ
Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে বিশ্বের কারখানা হিসেবে পরিচিত চীন। বছরের প্রথম তিনমাসে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দেশটির বাণিজ্যিক ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠান টিয়ানিয়ানচা এর তথ্য অনুযায়ী ৪ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠান তিনবছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছিলো। অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়েছে দেউলিয়া হয়ে লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণে, আবার অনেকে নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬ হাজার রপ্তানি খাতের।
একইসময়ে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ার হারও উলেখযোগ্যভাবে কমেছে।
জানুয়ারি থেকে মার্চ এ সময়ে চীনে প্রায় ৩২ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা একবছর আগের একইসময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ কম।
করোনাভাইরাস মহামারিকে ঘিরে চীনে বিপুল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরী করেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি সংকোচিত হবে। যা ১৯৭৬ সালের পর চীনের ইতিহাসে প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। এক নোটে ফ্রেন্স ব্যাংক সোসাইটে জেনারেলের অর্থনীতিবিদ ইয়াও উয়ে এবং মিখেলে ল্যাম জানান, ‘কভিড-১৯ এর ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে চীন। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার পর তাও কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় ও বর্হিবিশ্বের সংকট এখন অর্থনীতিতে বড় বাধা হয়ে উঠেছে।’
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চীনের সাফল্য এসেছে মূলত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে। মানুষের চলাচল সিমীত করা ও সামাজিক দূরত্ব তৈরী করা হয়েছে জনগণের ইচ্ছায় কিংবা জোরপূর্বক। চলাচল বন্ধে অত্যন্ত কঠিন নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে। অনেক শহরেই কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে হুবাই প্রদেশে।
ছোট-বড় শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক প্রায় সব কর্মকান্ডই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোটাই বিপর্যস্ত হয়েছে। তার ফলও পেয়েছে হাতেনাতে। অনেক দ্রুত করোনাভাইরাস থেকে পুনরুদ্ধার ঘটেছে এ প্রদেশে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে পুরো বছরজুড়েই তার ক্ষত বহন করতে হবে। চীনের মিডিয়া গ্রুপ কেইসিন জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিল্পখাতে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স কমে হয় ২৬.৫ পয়েন্ট। যেখানে একমাসেও আগেও এ সূচক ছিলো ৫১.৮ পয়েন্ট। ৫০ এর নীচে পয়েন্ট থাকলে সংকোচন বোঝায়, ফলে বর্তমান সূচক মারাত্বক সংকোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা ২০০৫ সালে এ জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিন্ম পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাস ছিলো চীনের কারখানাগুলোর জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়।
ছোট-বড় শিল্পকারখানা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক প্রায় সব কর্মকান্ডই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোটাই বিপর্যস্ত হয়েছে। তার ফলও পেয়েছে হাতেনাতে। অনেক দ্রুত করোনাভাইরাস থেকে পুনরুদ্ধার ঘটেছে এ প্রদেশে। ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে পুরো বছরজুড়েই তার ক্ষত বহন করতে হবে। চীনের মিডিয়া গ্রুপ কেইসিন জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিল্পখাতে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স কমে হয় ২৬.৫ পয়েন্ট। যেখানে একমাসেও আগেও এ সূচক ছিলো ৫১.৮ পয়েন্ট। ৫০ এর নীচে পয়েন্ট থাকলে সংকোচন বোঝায়, ফলে বর্তমান সূচক মারাত্বক সংকোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা ২০০৫ সালে এ জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিন্ম পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাস ছিলো চীনের কারখানাগুলোর জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়।
Post a Comment