নিয়মিত নিমপাতা ভেজানো জলে স্নান করুন, ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো


Odd বাংলা ডেস্ক: নিমের গুণাগুণ নিয়ে আলাকা করে কিছুই বলার নেই। নিমের অ্যান্টিসেপ্টিক ফর্মুলা প্রায় কয়েক হাজার বছর ধরে চলে আসছে। তবে এই নিমপাতা যদি স্নানের জলে দিয়ে স্নান করেন, তাহলে এর উপকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়, জানেন কীভাবে? 

১) ত্বকের নানা সমস্যার চটজলদি সমাধান- নীম যেহেতু একটি অসাধারণ জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে, তাই যে কোনও কারণে ত্বকে কোনও জীবাণু সংক্রমণ হলে নিমপাতা ফোটানো জলে স্নান করা উচিত। এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই সংক্রমণ পুরোপুরিভাবে সেরে যাবে। 

২) পিম্পল, ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস সারাতে নিম জলে স্নান- নিমপাতা ভেজানো জলে স্নান করলে অ্যাকনে, পিম্পল এবং ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও শরীরের কোনও স্থানে আঘাত লেগে কেটে গেলে তাতেও নিমপাতা ভেজানো জল লাগালে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।

৩) গায়ের দুর্গন্ধ দূর করে- গরমের দিনে শরীরে দুর্গন্ধ খুবই স্বাভাবিক। আর তার চটজলদি সমাধান হতে পারে নিম ভেজানো জল।
প্রতিদিন নিয়ম করে নিমপাতা ভেজানো জলে স্নান করলে শরীরের সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। ফলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়।

৪) খুশকির নিরাময়ে- চুলের যে কোনও সমস্যার মধ্যে খুশকি অন্যতম। এই সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত নিমপাতা লাগানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, চুলের গোড়ায় ধুলো ময়লা জমার ফলে চুল থেকে দুর্গন্ধ নির্গত হতে পারে, তাই সেজন্য নিমপাতা ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুলে চুল উপকার পাওয়া যায়।

কিভাবে বানাবেন নিমের জল-

  • পরিমাণ মতো তাজা নিমপাতা নিন।
  • পাতাগুলি ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • একটি পাত্রে জলের মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ফুটতে দিন ৩ থেক ৫ মিনিট।
  • জলের রঙ সামান্য হলুদাভ হয়ে এলে এবং নিমের গন্ধ বেরোলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
  • গরম জলটা ছেঁকে নিয়ে বালতির ঠাণ্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করুন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.