মাস্ক পরেই বিয়ে, এলাহি আয়োজন নয়, গরিব মানুষকে খাওয়াতে ৩১,০০০ টাকা দান নবদম্পতির


Odd বাংলা ডেস্ক: বৈশাখ মাস পড়লেই শুরু হয় বিয়ের মরশুম। কিন্তু এবছরের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিচ্ছেন সকলেই। কিন্তু সাত পাকে বাধা পড়লেও অন্যভাবে নজির গড়ল খড়গপুরের এই দম্পতি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সৌরভ কর্মকার এবং স্বাতী নাথ। 

সৌরভ একটি ফাস্ট ফুডের দোকান চালান। লকডাউনের কারণে এখন সে দোকান বন্ধ। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে ১৫ জনের উপস্থিতিতে বিয়ে সারেন যুগলে। স্বাতীর মা এই মুহূর্তে অন্য জেলায়, লকডাউনে বন্ধ পরিবহন, তাই আসতে পারেননি তিনি। স্বাতীর কাকিমাই 'কনে বিদায়' করেন।

বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত সকলের মুথেই মাস্ক পরেছিলেন, কেবল শাঁখ বাজানো বা উলু দেওয়ার সময়েই মুখ থেকে মাস্ক সরিয়েছিলেন মহিলারা। মাস্ক পরেই মন্ত্র উচ্চারণ করেছিলেন পুরোহিতও। তবে বিয়েবাড়ির যে মূল আকর্ষণ সেই জাঁকজমকপূর্ণ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল না। বরং গরিব মানুষকে খাওয়ানোর জন্য স্থানীয় ক্লাবকে নবদম্পতি দান করলেন ৩১,০০০ টাকা। ওই ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৫০০ লোককে দু'দিনের খাবার খাওয়ানোর জন্য ওই অর্থ ব্যবহার করা হবে। 

নতুন কনে স্বাতীর কথায়, 'আমি খুব খুশি যে আমাদের বিয়েতে কিছু গরিব মানুষের মুখে আমরা খাবার তুলে দিতে পেরেছি।' অন্যদিকে সৌরভবাবু জানিয়েছেন, 'আমার বিয়েতে যা খরচ হতো, তাতে আমি ভেবেছিলাম যে, কেমন হয় যদি এই টাকায় আমি গরিব মানুষকে খাওয়াতে পারি। সেইমতো আমি আমার পরিবারকে জানাই। সকলে সম্মতি প্রকাশ করলে এই সিদ্ধান্ত নিই।'

প্রসঙ্গত, যুগলের বিয়ে গত ১৩ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। তবে সৌরভের মা আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তা বাতিল করতে হয়। এরপর হবু শাশুড়ির যত্ন নিতে পাশেই নিজের কাকিমার বাড়িতে থেকে যান স্বাতী। তবে অবশেষে যুগলের চার হাত এক করা হল। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.