ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লালারসের বিন্দুতে থাকতে পারে কয়েক লক্ষ করোনাভাইরাস, বলছেন বিশেষজ্ঞ


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে একাধিক বিধি জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বারবার হ্যাত স্যানিটাইজ করা বা সাবান দিয়ে ধোয়া, হাঁচি বা কাশির সময় কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা, মাস্ক ব্যবহার করার মতো বিষয়গুলি ডাক্তারবাবুদের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফেও বারবার প্রচার করা হচ্ছে। এই নিয়মগুলি সঠিকভাবে মেনে চললেই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব । 

কেন এই বিধি মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লালারসে(ড্রপলেট) কয়েক লক্ষ করোনাভাইরাস থাকতে পারে। আর এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে মাত্র ৪০-২০০টি ভাইরাসই যথেষ্ট। একজন শীর্ষস্থানীয় মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইউয়ান-কুয়োক-ইয়াং এমনটাই জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে সার্স (SARS) যখন ব্যপকভাবে বিস্তার লাভ করছে, সেই সময়ে তিনি বিস্তারিত গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। 

বিশিষ্ট এই মাইক্রোবায়োলজিস্ট আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য একটি ভাইরাস যথেষ্ট নয়। করোনার সংক্রমণের জন্য ব্যক্তির নাক, মুখ, বা শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্ট-এ ৪০-২০০টি ভাইরাস কণা প্রবেশ করা প্রয়োজন। তবেই একজন ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ সম্ভব। ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সকল মানুষেরই মাস্ক পরাটা প্রয়োজন। একমাত্র মাস্কই পারে প্রাথমিকভাবে ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশের হাত থেকে বাঁচাতে। এরজন্য তিনি বলেন যে, একেবারে মাস্ক ব্যবহার না করার চেয়ে কম ক্ষমতা সম্পন্ন মাস্ক ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.