করোনা: চিনের শেনজেনে কুকুর-বিড়াল খাওয়া নিষিদ্ধ হল


Odd বাংলা ডেস্ক: চিনের উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ দিকে প্রথম ছড়িয়েছিল বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো নোভেল করোনাভাইরাস। টানা তিন মাসের লড়াইয়ে করোনার প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে চীন। তবে গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে চীনের শেনজেন শহর প্রশাসন কুকুর ও বিড়ালের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে বলে ব্যাংকক পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পশুদের দেহ থেকে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। উহান শহরে একটি বাজার থেকেই ওই রোগের সংক্রমণ হয়েছে বলে সন্দেহ। 

সেই বাজারে বাদুড়, সাপ ও অন্যান্য প্রাণীর মাংস বিক্রি হয়। চীনের উহান শহর থেকে শুরু হয়ে এখন বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড ১৯ মহামারী। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬১ হাজার ৬৯২ জন মানুষ। মারা গেছেন ৪৯ হাজার ১৬ জন। এরপরেই শেনজেন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, ১ মে থেকে সেখানে কুকুর ও বিড়ালের মাংস খাওয়া বন্ধ। নগর প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, 'অনেকে কুকুর ও বিড়াল পোষেন। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অনেক গভীর। উন্নত দেশে, এমনকি হংকং ও তাইওয়ানেও কুকুর, বিড়ালের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।' পরে বলা হয়েছে, 'মানব সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরাও কুকুর ও বিড়ালের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করছি।' গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই চীন সরকার সব রকমের বন্যপ্রাণী বিক্রি ও খাওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য তৎপর হয় বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার। শেনজেন শহরের রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অফিসার লিউ জিয়ানপিং বলেন, এখানকার বাসিন্দাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে মুরগি, জীবজন্তু ও সি ফুড পাওয়া যায়। বন্য জন্তুর মাংস যে বেশি পুষ্টিকর, এমন কোনও প্রমাণ নেই।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.